Market
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। বুধবার এই প্রথম দেশের শেয়ার বাজারে আইপিও ছাড়ল এলআইসি। আর প্রথম দিনেই আবেদন জমা পড়ল ৬৭%। আবেদন বেশি জানিয়েছেন পলিসিহোল্ডার, খুচরো লগ্নিকারী এবং এলআইসির কর্মীরা। আবেদন গ্রহণ করা হবে ৯ মে পর্যন্ত। আবেদন জানানো যাচ্ছে দু’ভাবে। প্রথমত অনলাইনে এবং দ্বিতীয়ত ব্যাঙ্কের অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্টেড বাই ব্লকড অ্যামাউন্ট মাধ্যমে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকলে শেয়ার কেনার জন্য আবেদন জানানো যাবে। এলআইসির আইপিও ছাড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিস্তর জল্পনা। সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যপক কৌতূহল।
আইপিও ইতিমধ্যেই দেশের শেয়ার বাজারে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি করেছে। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ জোম্যাটো। তারপরেই আইপিও প্রোগ্রাম বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এলআইসি’র ক্ষেত্রেও সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। আর যে কারণে নতুন প্রজন্মের মধ্যেও এলআইসি’র আইপিও ছাড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। কিন্তু যাদের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, তাঁরা কিভাবে এলআইসি’র আইপিও প্রোগ্রামে অংশ নেবেন, কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা হবে, সেই বিষয়ে জেনে নেব বিশেষজ্ঞের থেকে।
এলআইসির আইপিও ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র যেদিন ঘোষণা করেছিল, সেদিন থেকেই বিনিয়োগকারীরা ছিলেন মুখিয়ে। এই বীমা সংস্থার ৩.৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্র। যার দরুন রাজকোষে ঢুকতে পারে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সবথেকে বড় আইপিও প্রোগ্রামের সাক্ষী থাকছেন সকলে এটা যেমন ঠিক। তেমনই তড়িঘড়ি আইপিও ছাড়ার কারণে কতটা লাভবান হবে সরকার, উঠছে সেই প্রশ্নও।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ