Daily
কোলকাতায় শীতের শুরু হয় হেদুয়া বা ওয়েলিংটনের ফুটপাথে পসরা সাজিয়ে বসা পরিযায়ী ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। কম দামে সেখান থেকেই শীতের শপিং সারেন শহরবাসী। কোলকাতার মানুষজনের কাছে এই ছবি অতি পরিচিত। আর আজ এই ভিন রাজ্যের পরিযায়ী ব্যবসায়ীদের দাপট শুধু শহর কোলকাতাতেই সীমাবদ্ধ নেই। শহর ছাড়িয়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও ছরিয়েছেন তাদের সাম্রাজ্য। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলেও ছবিটা খানিক একইরকম। ৩০০ টাকা কেজি দরে দেদার বিকচ্ছে কম্বল। কম দামে কম্বল কিনতে ভালো ভিড় জমেছেন পথ চলতি মানুষজন। কিন্তু ভিন রাজ্যের এই পরিযায়ী ব্যবসায়ীদের দাপটে আজ স্থানীয় লেপতোশক ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক অস্তিত্ব সংকটের মুখে।
উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দল বেঁধে পৌঁছে গিয়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে। উদ্দেশ্য, কম্বল বিক্রি তাও আবার কেজি দরে। আসলে লোকাল ব্যবসায়ীরা লেপ বা কম্বল পিছু একটা নির্দিষ্ট দাম ধার্য করে রাখেন। আর এই পরিযায়ী ব্যবসায়ীরা কেজি দরে কম্বল বিক্রি করায় দামটা তুলনায় কম পড়ে। আর কম দামে ভালো মানের কম্বল পেলে কে আর হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে বলুন? অতয়েব খোলা আকাশের নীচে অস্থায়ী দোকানে পরিযায়ী ব্যবসায়ীদের এখন রমরমা ব্যবসা।
কথায় আছে, কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ। পরিযায়ী ব্যবসায়ীদের শীতের বাজার গরম বটে। কিন্তু এই গরমের দাপটেই রীতিমত মাছি তাড়ানোর দশা হয়েছে স্থানীয় লেপ-তোষক ব্যবসায়ীদের। তাদের বিক্রিবাট্টা প্রায় বন্ধ। কেউ কেউ এই বছর একটি লেপও বিক্রি করতে পারেননি। যে শীতের মরশুমের জন্য সারাবছরের অপেক্ষা থাকে, সেই শীতের মরশুমেই নাকি শনির দশা লেপ তোষক ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রি এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিলে স্থানীয় জীবন-জীবিকা রক্ষা পাবে। যদিও এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে চেম্বার অফ কমার্স।
কাঞ্চন দাস
দুর্গাপুর