Market
মূল্যবৃদ্ধির কোপে পড়ে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। একদিকে খাদ্যপণ্য, অন্যদিকে রান্নার গ্যাস। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উজ্জ্বল যোজনা সেভাবে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে পারেনি। তার অন্যতম কারণ, এলপিজি সিলিন্ডারে যে ভর্তুকি দেওয়ার কথা সরকার ঘোষণা করেছে, সেই ভর্তুকির অঙ্ক সবসময় যে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন এমনটা কিন্তু নয়। স্বাভাবিকভাবেই বহু নিম্নরোজগেরে মানুষ হেঁশেল ঠেলার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারের পরিবর্তে নজর দিচ্ছে কেরোসিনে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির আঁচ যে সেখানেও। আর যে কারণে সমস্যা আরও বেশি করে চওড়া হচ্ছে গরিব মানুষগুলোর জন্য। অন্যদিকে আতান্তরে পড়েছেন রাজ্যের ২৯ হাজার কেরোসিন ডিলার। জানা গিয়েছে, গত দু’বছরে কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে পাঁচ গুণ। বর্তমানে এক লিটার কেরোসিনের দাম ছুঁয়েছে ৮২.৫৪ টাকায়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রমাদ গুনছেন কেরোসিন ডিলাররা। কারণ দফায় দফায় দাম বাড়ার জন্য এখন তাঁদের বিক্রি নেমেছে তলানিতে।
২০২০ সালে কেরোসিনের দাম ছিল লিটার প্রতি ১৫.৭৩ টাকা। আর দু’বছরের মাথায় সেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২.৫৪ টাকায়। কেরোসিনের এই মূল্যবৃদ্ধির কারণটা কি? দেশে কেরোসিনের দাম কেন্দ্র মারফৎ স্থির করা হয়। রাজ্য সরকারের নজরদারিতে কেরোসিন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে কেন্দ্র প্রথম কেরোসিনের উপরে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর ২০২০ সালে পুরোপুরিভাবে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তারপরেই দেখা যায় কেরোসিনের দাম বাড়তে শুরু করে লাগামছাড়া। ফলে গরিব মানুষের পক্ষে কেরোসিন ক্রমশই মহার্ঘ্য হয়ে উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তাঁরাও সংসার চালানোর জন্য কাঠ, কয়লা ইত্যাদির উপরেই আস্থা রাখছেন। আর যে কারণে গত মাসে রাজ্যে কেরোসিনের বিক্রি নেমে আসে ৬০% মতন। একটি তথ্য বলছে, শুধু কেরোসিনের উপরে নির্ভর করেই ১ লক্ষ মানুষের সংসার চলে। কেরোসিনের দাম বাড়ার কারণে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন তাঁরা, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তাই ভর্তুকি ফিরিয়ে আনা উচিত বলে মনে করছেন অনেকে। একইসঙ্গে জোরালো হচ্ছে কেরোসিনের দাম কমানোর দাবি।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ