Market
হেঁশেল থেকে বাজার। মূল্যবৃদ্ধির কারণে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। সম্প্রতি গমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আটার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তায় মধ্যবিত্ত। এরপরেই এলো একটি সমীক্ষা। যেখানে বলা হল, দেশে সার্বিকভাবে কমেছে ভোজ্য তেল সহ চায়ের ব্যবহার। এই ঘাটতি নিঃসন্দেহে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, তাহলে কি ভোজ্য তেল এবং চায়ের মূল্যবৃদ্ধির কারণেই সংসার সামলাতে কাটছাঁট করতে হচ্ছে আম আদমিকে?
একটি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে চা খাওয়ার প্রবণতায় দেখা গিয়েছে ভালো রকম ঘাটতি। সার্বিকভাবে প্রায় ৩৫% কমেছে চা খাওয়ার প্রবণতা। একইসঙ্গে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে ভোজ্য তেলের ব্যবহার। সেখানেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ মতন। কিন্তু কেন?
তথ্য বা পরিসংখ্যান থেকে এই ঘাটতি নজরে এলেও মূল্যবৃদ্ধিই প্রধান কারণ মানতে নারাজ অনেক বিশেষজ্ঞরাই। তাঁরা মনে করছেন, দাম বাড়াই আসল কারণ নয়। এর পিছনে কাজ করছে অত্যধিক গরম। গোটা দেশে গরম জমাটি ইনিংস খেলার জন্য মানুষের মধ্যে চায়ের মত গরম পানীয়ের উপরে ঝোঁক অনেকটাই কমে এসেছে। একইসঙ্গে ভোজ্য তেলের ব্যবহারও কমিয়েছে সাধারণ মানুষ। এমনিতেই ফি বছর দেশে ১৯ লক্ষ টন ভোজ্য তেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইন্দোনেশিয়ার তেল আমদানিতে ধাক্কা লাগায় দেশে ভোজ্য তেলের মজুত এখন কম। কিন্তু দেশের ভাঁড়ারে যে পরিমাণ ভোজ্য তেল মজুত আছে, তা যথেষ্ট। কিন্তু তারপরেও চা সহ দেখা গেল তেলের ব্যবহারে কাটছাঁট করতে চাইছে সাধারণ মানুষ।