Market
একদিকে মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে সুদ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। আর এই সাঁড়াশি চাপে পড়ে লক্ষ্মীবারেও ফের ধস নামল শেয়ার বাজারে। তার জেরেই এক ধাক্কায় লগ্নিকারীরা হারালেন ১৮.৭৪ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। একইসঙ্গে ডলারের নিরিখে নামল টাকার দাম। বিএসই সেনসেক্স বৃহস্পতিবারে ১১৫৮ পয়েন্ট নেমে পৌঁছয় ৫২ হাজারের ঘরে। অন্যদিকে নিফটির সূচক নেমে দাঁড়ায় ১৫,৮০৮-এ। কিন্তু কেন শেয়ার বাজারে এই ধস নামছে?
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার বাজারেও নেমেছে অস্থিরতা। সেখানেও রয়েছে সুদ বৃদ্ধির আশঙ্কা। আমেরিকার এই সুদ বৃদ্ধির আশঙ্কার কারণে বিশ্ব বাজারেও দেখা দেয় টালমাটাল অবস্থা। সেই আঁচ এসে পড়েছে ভারতের বাজারেও। ফলে বিদেশি লগ্নিকারিরা আর তেমন একটা ভরসা রাখতে পারছেন না ভারতের শেয়ার বাজারে। তাই বেচে দিচ্ছেন শেয়ার। সাধারণত বিদেশি লগ্নিকারীরা শেয়ার বেচে যে টাকা পান, তা ডলারে কনভার্ট করিয়ে নেন। ফলে ডলারের দাম যেমন একদিকে বাড়তে থাকে, তেমনই অন্যদিকে কমতে থাকে টাকার ভ্যালু। এছাড়াও রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রয়েছে তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। সবমিলিয়ে ভারতের বাজারের অস্থিরতার ছবিটাই এখন সবথেকে বেশি প্রকাশ্যে আসছে।
অন্যদিকে, বিদেশি লগ্নি হাতছাড়া হলে নগদের জোগান কমবে ভারতের বাজারে। নগদের জোগান কমলে চাহিদাও তৈরি হবে কম। আর চাহিদা কম তৈরি হলে বিক্রিবাটাতেও নামবে ভাটা। এদিকে টাকার দাম এক সপ্তাহে দু’বার কমে যাওয়ার কারণে কাঁচামাল আমদানি করতে গেলে খরচ হবে বেশি। সেই প্রভাব সরাসরি এসে পড়বে ভারতের বাজারে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা আরও বাড়বে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ