Trending
Introduction:
‘Never dream of becoming something, if you dream, dream of doing something’
পিএম মোদীর এই একটি কথা স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে নতুন দিশা দেখাবে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। চিন এবং আমেরিকার পর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট আপ হিসেবে উঠে এসেছিল ভারতের নাম। পিছনে ফেলে দিয়েছিল জার্মানি এবং ব্রিটেনকেও। স্টার্ট আপের জন্য সবথেকে ভালো সময় ছিল ২০২০-২১ সাল। সেই সময় স্টার্ট আপের ইকোসিস্টেম ভারতীয় অর্থনীতিকে নতুন একটা দিশা দেখাবে বলে আশা করেছিল। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাপোর্ট ছিল পুরোটা। কিন্তু আজকের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম পুরো ইউটার্ন নিল। একেবারে পাল্টে গেল স্টার্ট আপের পুরো হিসেব নিকেশ। এখন আর শুধু লাভ নয়। বরং ক্ষতির মুখে পড়ছে একের পর এক স্টার্ট আপ সংস্থাগুলি।
ইকোনমিক টাইমসের একটি রিপোর্ট বলছে,
‘A decline in bets on startups led to a 27 per cent drop in investments by private equity and venture capital funds in April 2022 at USD 5.5 billion…’
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের একটি রিপোর্ট বলছে,
‘Geo-political instability appears to be taking a toll on the Indian startups with the total funding declining by 40 per cent to USD 6.8 billion in the April-June quarter…’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ করেই কেন ভারতীয় স্টার্ট আপের অবস্থা এতটাই দুর্দশার দিকে এগোচ্ছে? এই ব্যর্থতার দায় কি বর্তায় কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর? আসুন আজ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরব, ইন্ডিয়ান স্টার্ট আপের দুরবস্থা নিয়ে।
Examples of failed Startups:
গেল বছর দেখা গেল, যে’কটি ইন্ডিয়ান স্টার্ট আপ ভালোভাবে দাঁড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিল তার মধ্যে মাত্র ১৮টি ইউনিকর্নের জায়গা পেয়েছে। তার মধ্যে ধরে নেওয়া যাক প্রথমে ভেদান্তের কথা। ২০১৯ সালে ভেদান্ত ১৫২.৬ মিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছিল। ২০২০ সালে সেই ইনভেস্টমেন্ট পৌঁছে গেছিল ২৩৩ মিলিয়ন ডলারে। কিন্তু এত ফান্ডিং পাবার পরেও ভেদান্তকে ৭৬২ মিলিয়ন ডলার লসের মুখোমুখি পড়তে হল। একই অবস্থা হয়েছিল মিশোর। আর আনঅ্যাকাডেমি যা আজ ১.৯ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখোমুখি পড়ে। যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভারতীয় স্টার্ট আপের জন্য শুরু হল অন্ধকার যুগ। কিন্তু কেন? একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ২০২১ সাল ইন্ডিয়ান স্টার্ট আপের জন্য দারুণ একটা বছর ছিল। শুধু ঐ এক বছরে স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেমকে দাঁড় করানোর জন্য ফান্ডিং এসেছিল ৩৮.৫ বিলিয়ন ডলার। যা অধিকাংশটাই এসেছিল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে। খেয়াল রাখতে হবে, এই ফান্ডিং কিন্তু ম্যানুফ্যাকচারিং হাব চিনের থেকেও প্রায় দ্বিগুণ ছিল। কিন্তু কিভাবে এত ফান্ডিং এলো?
প্রথমঃ ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার
দ্বিতীয়ঃ কেন্দ্রীয় সরকারের সাপোর্ট
তৃতীয়ঃ চিনের কঠিন আইন
আর যে কারণে, এই বিপুল বিনিয়োগ চিন থেকে ঘুরে ভারতে চলে আসে। কিন্তু তারপরেও কেন ব্যর্থ হল? তার জন্য প্রথমেই মনে করা হচ্ছে, বেশ কিছু স্টার্ট আপ আয়ের থেকে ব্যয়ের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। যাকে বলা হয় ক্যাশ বার্ন। তার অন্যতম উদাহরণঃ ভারত পে। ২০২১ সালে ৬ কোটি রেভিনিউ আর্ন করার জন্য খরচ করে ২২৩ কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই সেটা বড় ধাক্কা ছিল ভারত পে-র জন্য। একই অবস্থা হয়েছিল ইনফ্রা.মার্কেটের। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, ভারতে স্টার্ট আপের সময়ে নেমে গিয়েছিল অন্ধকার। এইরকম সময়ে দাঁড়িয়ে যে’কটি ইউনিকর্ন ছিল তাদের অনেকেই শেয়ার মার্কেটে নিজেদের আইপিও নামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তাদের মধ্যে অন্যতম পেটিএম। কিন্তু তার ভাগ্যও খুব একটা খুলল না। আর শুধু পেটিএম নয়। নাইকা, জোম্যাটোর মত বেশ কিছু কোম্পানির আইপিও পড়ল ভালোরকম ক্ষতির মুখে। এসবের জন্য যেমন করোনার একটা ধাক্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তেমনি অন্য একটা কারণ হতে পারে প্লেজিয়ারিজম। হ্যাঁ, একই বিজনেস মডেল নিয়ে বারবার নতুন স্টার্ট আপ। আর সেখানে বিনিয়োগকারিদের কন্টিনিউয়াস সাপোর্ট।
False thoughts and Western World:
করোনার জন্য ৪% স্টার্ট আপ বন্ধ হয়ে যায়। ৩৮% স্টার্ট আপ আর্থিক সাহায্য থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হয়। আর ৩০% এর হাতে ১-৩ মাসের মত কোম্পানি চালানোর মত ক্যাশ পড়ে থাকে। যদি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, স্টার্ট আপের জন্য ভারত সরকার বেশ কিছু পলিসি নিয়েছিল। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব কিছু ইকোনমিক পলিসি রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু ইকোনমিস্ট মনে করছেন, অধিকাংশ স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলোর ভুল ফিউচার প্ল্যান, এক্সেসিভ খরচা আর তার সঙ্গে জুড়ল বিশ্ব জুড়ে মন্দার মতন পরিস্থিতি। আমেরিকা থেকে শুরু করে পাশ্চাত্যের দেশগুলোয় যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়ছে ইন্ডিয়ার স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগে। এছাড়াও ডলারের নিরিখে লাগাতার টাকার দাম পড়ছে। আর যে কারণে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইন্ডিয়ান স্টার্ট আপ নিয়ে আগ্রহ যথেষ্ট কমেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তেমনভাবে আগ্রহ হারালেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আর কেন নতুন কোন ইনিশিয়েটিভ নেবার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে না? স্টার্ট আও নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কি কি মনিটরি পলিসি রয়েছে? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাব আরেকটি প্রতিবেদনে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ