Daily
কেউ বলছেন গ্যাস আর বিদ্যুৎ খরচা ৮০ পাউন্ড থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০ পাউন্ড। কেউ বলছেন, ১ হাজার পাউন্ড থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার পাউন্ড। বাড়িভাড়া, ফোনের খরচা, বাসের ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া এই সবের খরচাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড বলছে, মূল্যবৃদ্ধির কোপে পড়ে হয়রান সাধারণ মানুষ। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি এখানেই যে থামবে না। সেটা পৌঁছে যেতে পারে ১৩ শতাংশে। সুতরাং, ভালো রকম বিপদের আঁচ করছে ইংল্যান্ড।
দুধ থেকে মাখন। মুখরোচক খাবার থেকে ডিম। জ্বালানি থেকে গম, গম থেকে সয়াবিন। এমনকি বাড়ি, গাড়ি, সাইকেল, বিমান ভাড়া, ট্রেনভাড়া, অ্যালকোহল- মোদ্দা কথা ব্রিটেনে এখন যাবতীয় নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কার্যত ভালোরকম বিপাকে ফেলেছে ব্রিটেনের সাধারণ মানুষকে। এমনকি রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ১৯৮২ সালের পর ব্রিটেনে কনজিউমার প্রাইস ইনফ্লেশন জুলাই মাসে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০.১ শতাংশে। ১৯৮২ সালের পর মানে চল্লিশ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। মনে করা হচ্ছে, যাবতীয় সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তেমন পাল্লা দিতে পারছে না মানুষের রোজগার। এর অন্যতম কারণ অবশ্যই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ।
রাশিয়া যখন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল, তখন পশ্চিমি দেশগুলো রাশিয়ার উপর জারি করে নিষেধাজ্ঞা। আর এই নিষেধাজ্ঞার কোপ পড়তেই ইংল্যান্ডে খাদ্যদ্রব্যের দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেই দেশে ব্যারেল প্রতি জ্বালানির দাম পেরিয়ে গিয়েছে ১০০ ডলার। প্রথম বিশ্বের দেশ হওয়ার কারণেই জ্বালানিতে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা নেই ইংল্যান্ডে। আর যে কারণে মনে করা হচ্ছে, আসছে শীতে জ্বালানি সংকট ব্রিটেনকে ভালোরকম নাস্তানাবুদ করে দেবে। এমনকি আরও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। তাহলে কি ভবিষ্যতে ইংল্যান্ড সরকারকেও জ্বালানিতে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে হবে সাধারণ মানুষের স্বার্থে? সেই উত্তর দেবে সময়। আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে তাহলে সেটা জানাবেন আমাদের কমেন্ট বক্সে। আর চোখ সরাবেন না বিজনেস প্রাইম নিউজের পর্দা থেকে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ