Market
মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল মোদী সরকার। সেই মতন গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু এবার শুধু গম নয়। চিনি রফতানিতেও সীমারেখা বেঁধে দিল কেন্দ্র। নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হল, এই মরশুমে ১ কোটি টনের বেশি চিনি রফতানি করা যাবে না। তারপরেই লন্ডনে চিনির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন চিনি রফতানিতে লাগাম পরাতে হল কেন্দ্রকে?
কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বাজারে বিপুল অঙ্কের চিনি রফতানি করার কারণেই চিনির দাম ক্রমশই বাড়তে শুরু করে। তাই এখন থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে চিনির দামও লাগামছাড়া হতে পারত। সরকারি সূত্রে খবর, জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চিনি রফতানি করতে গেলে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নিতে হবে অনুমতি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রথম দিকে চিনি রফতানির অঙ্ক ৮০ লক্ষ টনে বেঁধে দেওয়া হলেও পরে সেই মার্জিন আরও কিছুটা বাড়িয়ে করা হয় ২০ লক্ষ টন মতন। প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের পরেই ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ। ভারত থেকে বড় অঙ্কের চিনি রফতানি করা হয় বিশ্ব বাজারে। এই পরিস্থিতিতে চিনি রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা! সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিগত এক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে লাগাতার। যে কারণে আটার দাম বাড়তে শুরু করায় গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মূল্যবৃদ্ধির পায়ে লাগাম পড়িয়েছিল কেন্দ্র। এবার চিনির ক্ষেত্রেও সেই একইপথে হাঁটল মোদী ক্যাবিনেট।