Trending

টাকা থাকলেই পকেট গরম। নাহলেই ফক্কা। টাকা হ্যায় তো সবকুচ মুমকিন হ্যায়। যা ইচ্ছে তাই কিনে ফেলতে পারেন, যেখানে ইচ্ছে সেখানে ঘুরতে যেতে পারেন। যেন খরচেই তৃপ্তি। খুচেই সুখ। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কী? যে টাকা পয়সা আপনি দেদার খরচ করেন সেটা ছাপাতে সরকারকে কত ট্যাঁকের কড়ি খসাতে হয়?
এক টাকার নোট বাদে বাকি কয়েন এবং নোট ছাপানোর দায়িত্ব থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছেই। আর এক টাকার নোট ছাপায় অর্থমন্ত্রক। কিন্তু জানেন কি? টাকা ছাপানোর থেকে খরচ বেশি হয় কয়েন তৈরিতে? আবার এর পাশাপাশি এটাও সত্যি যে ২০ টাকার হাজার টা নোট ছাপানোর থেকে ১০ টাকার হাজারটা নোট ছাপাতে বেশি খরচ করতে হয়। ভাবছেন তো? যার বাজারমূল্য যত কম তা তৈরি করতে বেশি খরচ করতে হয় সরকারে? হ্যাঁ! এটাই সত্যি। কারণটা এবার বলব।
তিনি এসেছিলেন সবাই দেখেছে। কিন্তু জয় করলেন কি? তার বিদায়বেলায় তাই গুণ গুণ গুঞ্জনে সামিল ব্যাঙ্ক কর্তা থেকে আমজনতা। ঠিকই ধরেছেন গোলাপি নোটের কথাই বলছি যার মূল্য ২০০০ হাজার টাকা। ২০২০ সালের রিপোর্ট বলছে, এটা ছাপতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার খরচ হয়েছিল, ৩ টাকা ৫৪ পয়সা। ৫০০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হয় ২ টাকা ৯০ পয়সা। কিন্তু ২০০ টাকার নোট ছাপতে তুলনায় বাড়তি খরচ হয়েছে। ঠিক যেমনটা আগে বলেছিলাম। এবং এবার প্রমাণসহ বলছি। ২০০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। কেন? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জারি করা রিপোর্ট বলছে, নোট যত বড় হয়, ছাপার খরচ তত কমতে থাকে।
কিন্তু জানেন কি? টাকা ছাপানোর চেয়ে কয়েন ছাপাতে বেশি খরচ করতে হয় সরকারকে? কিন্তু তা স্বত্বেও এখন টাকাকে কয়েনে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। কেন? কারণ একটাই। কয়েন দীর্ঘদিন চলবে। আর নোট ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই যেমন ধরুন, আরবিআই জানিয়েছে, 10 টাকার কয়েন তৈরি করতে তাদের খরচ হয় ৫ টাকা ৫৪ পয়সা। অন্যদিকে ১০ টাকার নোট তৈরিতে কত খরচ? মাত্র ৯৬ পয়সা। মানে কয়েনের খরচের প্রায় ওয়ান সিক্সথ। কিন্তু তবু, কয়েনেই জোড়। খরচ বেশি হলেও দীর্ঘদিন নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। তবে এক্ষেত্রেও খরচের হিসেবটা একই। মানে, ২ টাকা বা ৫ টাকার তুলনায় ১ টাকার কয়েন তৈরিতে খরচ বেশি।
তবে, এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, টাকা তৈরিতে কিন্তু এক বিশেষ ধরণের কাগজ ব্যবহার করা হয়। যা ১০০ শতাংশ কটন। তাই ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর ছাপার ক্ষেত্রে এক বিশেষ ধরণের কালিও ব্যবহার করা হয়। যা আসে সুদূর সুইডেন থেকে। কিন্তু তবুও কয়েনের দৌড় বহুদূর। আর তাই কয়েন তৈরিতে বেশি খরচ করে সরকার।
তবে, এতক্ষন এত তথ্য পেয়ে অনেকে ভাবতে পারেন এতই যখন কম খরচ তখন তো ইচ্ছা মতো বেশি করে নোট ছেপে নেওয়া যায়। কিন্তু অর্থনীতির অঙ্ক অত সহজ নয়। নিয়মের বেড়াজাল সর্বত্র। নিয়ম বলছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে অঙ্কের নোট ছাপবে তার সমান সম্পত্তি নিজের কাছে গচ্ছিত রাখতে হবে। এবং ইচ্ছে করলেই যত খুশি নোট ছাপানো যাবে না। তাতে, হিতে বিপরীত হতে পারে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ