Daily
এক চিন নীতিতে বিশ্বাস রাখে বাংলাদেশ। তাই চিন-তাইওয়ান অশান্তিতে জড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশ রয়েছে চিনের পাশেই। আর এটাই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় কর্মকাণ্ডে চিন যেভাবে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়ে থাকে, সেই কারণের জন্যই কি চিনের চাপ কার্যত বাংলাদেশকে এক চিন নীতিতে বিশ্বাস রাখতে কিছুটা বাধ্য করছে?
ঝামেলা, অশান্তির সূত্রপাত যখন চিনের হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাইওয়ান সফর করে আসেন মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাঁর এই সফর স্বাভাবিকভাবেই ইঙ্গিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থোড়াই কেয়ার মনোভাব। এর ফলে চিনের বিরক্তি আরও কিছুটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থায় কোথায় দাঁড়িয়ে রইল বাংলাদেশ? চিনের পাশে নাকি তাইওয়ানের পাশে? এই নিয়ে যখন নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হতে শুরু করে দিয়েছে তখন সেই আশাতে জল ঢেলে দেয় ঢাকা। বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দেয়, চিনের পাশেই থাকছে বাংলাদেশ। কিন্তু কেন? এখানেই তুলে ধরা হচ্ছে একটা ছোট্ট রিপোর্ট।
সানডে গার্জেনের একটি রিপোর্ট বলছে, China has also stepped up its investments in infrastructure, which is worth 10 billion dollar in Bangladesh. Also, as per source, Bangladesh is set to receive an investment worth 40 billion dollar from China under a bilateral partnership. অর্থাৎ, বাংলাদেশে ইনফ্রাস্ট্রাকচার খাতে চিনের ইনভেস্টমেন্ট যেখানে থাকছে ১০ বিলিয়ন ডলার, সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে, বাংলাদেশ চিনের থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট নিতে প্রস্তুত। স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট যে কিভাবে বাংলাদেশ নিজেদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য চিনের উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এখানেই জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, বাংলাদেশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার কোন পরিকল্পনা বাংলাদেশের নেই। তাদের এই এক চিন নীতি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও অনেকটা মজবুত করবে। এই বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশের সমর্থনকে সানন্দে গ্রহণ করেছেন। এমনকি তাইওয়ান নিয়ে বাংলাদেশ বাড়তি কোন আবেগ দেখাক, সেটাও চিনের না-পসন্দ। আর যে কারণে, হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেই জানানো হয়, বাংলাদেশ এক চিন নীতিতেই বিশ্বাস রাখে। এমনিতেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটু টলমল। লোডশেডিং বেড়েছে, দাম বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের। এদিকে পদ্মা সেতুর মতন মেগা প্রোজেক্টে চিনের উপরেও নির্ভরশীল ঠেকেছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে ঋণ। স্বাভাবিকভাবেই, একদিকে বাংলাদেশ নিজের সার্বিক উন্নতির জন্য ভরসা রাখছে চিনের ওপর। অন্যদিকে এই আর্থিক অবস্থা কার্যত বাংলাদেশকেই রাখছে চাপে। আর সেই কারণেই কি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশকে আজ এক চিন নীতিতে বিশ্বাস রাখতে হচ্ছে? আপনার কি মনে হয়? জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ