Daily
মাত্র ৫৪ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রয়াত হলেন দেশের বিশিষ্ট উদ্যোগপতি এবং টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি। রবিবার দুপুরবেলা সূর্য নদীর ব্রিজের উপরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, রবিবার গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে মুম্বইয়ের পথে ফিরছিলেন তিনি। একটা সময় টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সম্পর্কে না-জানা কিছু কথা।
১৯৬৮ সালের জুলাই পার্সি পরিবারে জন্মগ্রহণ করে সাইরাস মিস্ত্রি। মা ছিলেন আইরিশ। বাবা বিখ্যাত শিল্পপতি পালোনজি মিস্ত্রি। সাইরাস মিস্ত্রির পড়াশুনো লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে।
১৯৯১ সালে সাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর ডিরেক্টর হিসেবে শুরু করেন নিজের উত্থানের অধ্যায়। দেশের অন্যতম নামজাদা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তাঁর ভূমিকা ছিল নজিরবিহীন। ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ তাঁকে ব্রিটেন এবং ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপতির আখ্যা দেয়।
২০০৬ সালে টাটা সন্সের বোর্ড থেকে অবসর নেন সাইরাস মিস্ত্রির বাবা পালোনজি মিস্ত্রি। তারপর টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সাইরাস মিস্ত্রি নিজেও। ২০১৩ সালে টাটা সন্সের হিসেবে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন সাইরাস মিস্ত্রি। সামলেছেন টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস, টাটা টেলিসার্ভিস, টাটা পাওয়ারের মত একাধিক সংস্থার দায়িত্ব।
২০১৬ সালে সাইরাসকে সরিয়ে দেওয়া হয় টাটা সন্সের বোর্ড থেকে। শুরু হয় আইনি যুদ্ধ। সম্পর্কে ফাটল ধরে টাটা এবং মিস্ত্রির মধ্যে। পরিবর্তে বসানো হয় রতন টাটার ঘনিষ্ঠ এন চন্দ্রশেখরনকে।
বর্তমানে টাটা সন্সের ১৮.৩৭% স্টেক রয়েছে সাইরাস মিস্ত্রির হাতে। টাটা বাদ দিলে সাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি শেয়ার।
দেশের ইতিহাসে এমন কর্পোরেট তিক্ততা আগে কখনো হয়নি। টাটার সঙ্গে আইনি লড়াই চললেও অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে জয়ী হয় টাটারাই। এসব সত্ত্বেও সাইরাস মিস্ত্রি ছিলেন দেশের অন্যতম বিখ্যাত উদ্যোগপতি। তাঁর মৃত্যুতে শেষ হল এক কর্পোরেট অধ্যায়। সাইরাস মিস্ত্রির আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ দেশের তাবড় শিল্পপতিরা।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ