Daily

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা খানিক কমলেও রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়ছে সামনের উপনির্বাচনকে ঘিরে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে দাঁড়িয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে কে এই প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যুদ্ধে মুখোমুখি নেমেছেন?
প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের জন্ম ১৯৮১ সালে। পড়াশোনা কলকাতার ওয়েল্যান্ড গোল্ডস্মিথ স্কুলে। দিল্লির পাশাপাশি হাজরা ল’ কলেজ থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। এমবিএ করেছেন মানবসম্পদ বিষয়ে তাইল্যান্ডের অ্যাসামপশন ইউনিভার্সিটি থেকে। আসানসোলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র আইনজীবীও ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরীওয়াল। ৪১ বছরের প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক কেরিয়ার দীর্ঘ না হলেও বিজেপির অন্দরমহল কিন্তু লড়াকু হিসেবেই প্রিয়াঙ্কাকে সার্টিফিকেট দিয়েছে। ২০২০ সালে যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি হয়েছিলেন ঠিকই তবু দু’বার নির্বাচনে হেরেছেন তিনি। প্রথম, ২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে। হেরেছিলেন ৪৮ নং ওয়ার্ডে। দ্বিতীয় গত বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি থেকে। সেবারেও পরাজিত হয়েছেন ৫৯ হাজার ভোটে।
আর দু’বার নির্বাচনে পরাজিত হয়েও তৃতীয়বার ফের তাঁকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর মত সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি শিবির। বিজেপির অন্দরমহল বলছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির হয়ে মুখ্য আইনজীবী ছিলেন প্রিয়াঙ্কাই। আর যে কারণে লড়াকু আখ্যা দিচ্ছে বিজেপি।
ব্যুরো রিপোর্ট