Market
লক্ষ্য, ২০৩০। দুই দেশের সম্পর্কের ভিত হবে আরও মজবুত। ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পৌঁছবে ১০০ বিলিয়নের ঘরে। আর সেই নিয়েই আন্তরিকভাবে কাজ করছে দুই দেশ। কিন্তু যে চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল দীপাবলির আগেই, তা চূড়ান্ত হতে এত সময় লাগছে কেন? এখন ঠিক কোন পথে ভারত-ইংল্যান্ড মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি?
বহু রাজনৈতিক টানাপোড়েন শেষে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন ঋষি সুনক। এই প্রথমবারের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হলেন কোন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। স্বাভাবিকভাবেই খুশির জোয়ারে ভেসেছে ভারত। তারওপর আবার দীপাবলির ঠিক আগেই এমন খবর পাওয়ায় আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল ভারতবাসীর। প্রত্যাশা রয়েছে যে এবার হয়ত ভারতের সাথে ইংল্যান্ডের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। সত্যিই কি তাই? এ নিয়ে ঠিক কতটা তৎপর ঋষি সুনকের সরকার?
ভারত-ইংল্যান্ড দিপাক্ষিক বাণিজ্য যে এবার আরও মজবুত হবে, এটা সত্যি। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মজবুত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাবনার কথা বলেছেন ঋষি সুনক। আর এবার তারই বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর দুই দেশ। জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সারতে আগামী ডিসেম্বরেই ভারতে আসছেন সুনক সরকারের কর্মকর্তারা। তারা চাইছেন আগামী চার মাসের মধ্যেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে যাক। সব ঠিক থাকলে হয়তো আগামী মার্চেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করবে দুই দেশ। তবে এই আলোচনা সচিব স্তরে হবে নাকি মন্ত্রী স্তরে তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা।
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কিছু সময়ের ব্রেক আসলেও বর্তমানে ফের এই চুক্তি নিয়ে তৎপর হয়েছে দুই দেই। সুনক সরকার জানিয়েছেন যে, ভারত-ইংল্যান্ড বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আগামী কয়েক বছরে তা দ্বিগুণ করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রসঙ্গত, চুক্তির ২৬টি চ্যাপ্টারের মধ্যে ১৪ টি ইতিমধ্যেই ফাইনালাইজ হয়ে গিয়েছে। এবার বাকি কাজ এগোতে অন্তত তিন-চারমাস সময় লাগবে। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি তার ভারত সফরে এসে জানিয়েছিলেন যে, দুই দেশের বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনা থেকে শুরু করে শুল্ক কমিয়ে আমদানি রপ্তানি বানিজ্যকে সহজ করাই হচ্ছে এই চুক্তির মূল লক্ষ্য।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ