Daily
নিজের নাক কেটে বিজেপির যাত্রা ভঙ্গ। এটাই কি কৌশল হতে চলেছে এবার বামেদের? যদিও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বামের ভোট গিয়েছিল রামে, ভোট ট্রান্সফারের এই ট্র্যাডিশন কি এবারও দেখবেন রাজ্যবাসী? এমনটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যের অলিতে গলিতে। পঞ্চম থেকে অষ্টম বাকি চার দফার ভোটে রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে তবে কি শাসক তৃণমূলের হয়েই ব্যাট ধরতে চলেছেন বামেরা? এমনই গুজবে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি বামেরা এমন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা থেকে এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার যে, বামেরা অন্তত বদ্ধ পরিকর রাজ্যের মসনদে যাতে বিজেপি কিছুতেই বসতে না পারে। অথচ এই মুহূর্তের রাজ্যের বিচারে বামেদের কোমরে এতটাও জোর নেই যে, তারা এককভাবে থামিয়ে দিতে পারে গেরুয়া শিবিরকে। গেরুয়া শিবিরের মূল প্রতিপক্ষ শাসক তৃণমূল। সেই তৃণমূল এবারের নির্বাচনে এতটাই বেসামাল যে ফল গিয়ে কোথায় দাঁড়াবে তা নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বাম নেতৃত্বের মনে।
ইতিমধ্যে রাজ্যে চার দফার ভোটে গড়ে ভোট পড়েছে প্রায় ৭৫% উপরে। বেশ কিছু বুথে এই হার ৮০ শতাংশকেও ছাড়িয়েছে। বামেদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই ভোট দানের হার অনেক সময়ই শাসক দলের বিপক্ষে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দখলের পথে তখন কোন বাধাই থাকবে না।
তাই বিজেপিকে আটকাতে অলিখিতভাবে বামকর্মী সমর্থকেরা গোপনে জোটবদ্ধ হয়ে নিজেদের ভোট ঘাসফুলের ঝুলিতে ট্রান্সফার করতে পারে বলেও গুজব উঠেছে। যদিও বাম কিংবা তৃণমূল কোন শিবিরের কোন নেতাই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। তাই বামেদের কোভিডের কথা মাথায় রেখে মিটিং মিছিল না করার ঘোষণা কিংবা উত্তরবঙ্গের প্রচারে ভাইজানকে না নেওয়া সব বিষয়গুলির মধ্যে একটা অদৃশ্য যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
ব্যুরো রিপোর্ট