Daily
এয়ারটেল, জিও বা ভোডাফোন। ৫জি নেটওয়ার্ক নিয়ে আসার জন্য সবাই উঠেপড়ে লেগেছে। স্পেকট্রাম নিলামে অংশ নিয়েছে এই সবকটা প্রাইভেট কোম্পানি। কিন্তু সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হল, এগুলোর একটির মধ্যেও নাম পাবেন না বিএসএনএলের। কী ব্যপার বলুন তো? একটা সময় ছিল, যখন মানুষ বলত, ভারতের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে বিএসএনএলের টাওয়ার পাওয়া যাবে না। আজ দেখুন তো, সব আছে, শুধু নেই বিএসএনএলের ৪জি নেটওয়ার্ক। এটাকে কি বলবেন? বিএসএনএলের দুর্ভাগ্য নাকি সরকারের উদাসীনতা?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব- এরা প্রত্যেকেই বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা চালু নিয়ে বেশ উদ্যোগী হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে না কেন? কিসের এতো গড়িমসি? ৪জি পরিষেবা চালু করার জন্য সি ডটের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে টিসিএস, তেজস। ৪জি পরিষেবা বসানোর জন্য কী কী যন্ত্র লাগবে, এই সব নিয়ে টিসিএসের সঙ্গে বৈঠক সারে টিসিএসের প্রতিনিধি দল। অপটিক্যাল ফাইবার, বিদ্যুৎ পরিকাঠামো, নতুন যন্ত্র কোথায় বসবে- এই সবকিছু নিয়ে যে এতো আলোচনা এতো কিছু হল তার তো কোন ফ্রুটফুল রেজাল্ট এখনো হাতে এসে পৌঁছল না। আমরা সবাই আশার আলো দেখেছিলাম যে ১৫ অগাস্ট হয়ত বিএসএনএল ৪জি সার্ভিস চালু করে দিতে পারবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত হল না। কারণ?
বিএসএনএল বলছে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করাই লক্ষ্য। আর সেই কাজ অনেকটাই কমপ্লিট। শুধু টেকনোলজি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে টিসিএসের সঙ্গে এখনো বোঝাপড়া চলছে। মানে বাণিজ্যিক বিষয়টা এখনো আলোচনা স্তরে। এদিকে শোনা যাচ্ছে, সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট একটা বিশেষ তহবিল থেকে ৩০ হাজার গ্রামে বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা চালু করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তার জন্য প্রয়োজন জায়গা, তার জন্য প্রয়োজন ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এই দরকারি বিষয়গুলো সবই এখন মিটছে, কথাবার্তা চলছে বা জোর কদমে আলোচনাও হচ্ছে। একটা প্রশ্ন আজ আপনাদের সামনে রাখব। আচ্ছা বলুন তো, যখন বিএসএনএলের মতন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আমাদের এতদিন ধরে স্মুদ পরিষেবা দিয়ে এসেছে তখন আজকের তাকে বারবার পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে অন্য সব প্রাইভেট কোম্পানির কাছে। স্পেকট্রাম নিলাম সুন্দরভাবে হয়ে গেল। প্রাইভেট টেলিকম সংস্থাগুলো এতো সুন্দরভাবে কাজ করছে। কিন্তু বিএসএনএল কেন পারছে না? প্রশ্নটা রইল আমাদের দিক থেকে। উত্তর দিন কমেন্ট বক্সে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ