Trending
কয়লা নয়! গ্রিন এনার্জিতেই ভরসা রাখছে মেটাল মার্কেট। কিন্তু কেন? কারণটা আর কিছুই নয়। কয়লার সংকট আর ফসিল ফুয়েলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। যখন জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি বিগত বছরের যাবতীয় রেকর্ডকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে, তখন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে একটা কিছু বিকল্প তো চাই। অতএব এক্ষেত্রে রিনিউয়েবল এনার্জির বিকল্প আর কিছু হতেই পারে না। গ্রিন এনার্জি ছাড়া এই মুহূর্তে আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। আর গ্রিন তো সবসময়ই এভারগ্রিন।
করোনা পরিস্থিতির পর পুনর্জন্ম হয়েছে গোটা বিশ্বের। সেরে উঠছে দেশের শিল্প। চাকা ঘুরছে অর্থনীতির। তবে, বিগত বছরের এত বড় ধাক্কা সামলে এখনই জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামকে অ্যাকসেপ্ট করার মত পরিস্থিতি এখন মোটেই তৈরি হয়নি। একদিকে কয়লার জোগানে ঘাটতি, অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির দাম ছ্যাকা দিচ্ছে। আর এত দাম দিয়ে ফুয়েল কেনার মত পুঁজি এখন কার কাছে নেই বললেই চলে। তা বলে তো শিল্পের উন্নয়ন থেমে থাকতে পারে না। ধাতু শিল্পে প্রয়োজন বিশাল পরিমাণ এনার্জি। আর এই সংকটের দিনে এই বিপুল চাহিদা মেটাতে রিনিউয়েবেল এনার্জিই ভরসা। প্রসঙ্গত, ভারতের বৃহত্তম রিনিউয়েবল শক্তি সংস্থা গ্রিনকো এবং ধাতু উৎপাদনকারী সংস্থার মধ্যে কার্বন মুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি সই হয়ে গিয়েছে। এমনকি আরও বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও করছে গ্রিনকো।
শিল্পের চাহিদা বেড়ে চলেছে ক্রমশ। আর তার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে বিদ্যুতের চাহিদাও। এই বিদ্যুতের চাহিদার অধিকাংশই পূরণ হয় রাজ্য সরকারের প্রদান করা বিদ্যুতের থেকে। কিন্তু এই বিদ্যুতের বেশিরভাগটাই আসে কয়লার মতো জ্বালানি থেকে। এসবের কারণে অধিক খরচার সাথে সাথে বেড়ে যায় পরিবেশ দূষণের মাত্রাও। কিন্তু গ্রিন এনার্জির ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ তো অনেক কম হয়ই। তার পাশাপাশি এর খরচও অনেক কম। যার ফলে বিদ্যুতের পিছনে আর খুব বেশি অর্থ আর ব্যয় করতে হবে না ব্যবসায়ীদের। কাজেই এখন গ্রিন এনার্জিকেই যুগ যুগ জিও জানাচ্ছেন শিল্পকর্তারা।
বিজনেজ প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ