Trending
এক গলা দুর্নীতির পাঁকে ডুবে রয়েছেন নেতা মন্ত্রীরা। ইডি, সিবিআই হানা দিচ্ছে যখন তখন। শুধু বাংলা বলে নয়, অন্যান্য রাজ্যেও চলছে হানা পর্ব। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। আর সেই টাকা উদ্ধারও করছেন ইডি, সিবিআই বা আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু আপনাদের মনে নিশ্চয়ই এই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, যে টাকা তাঁরা উদ্ধার করছেন আদতে সেই টাকা কোথায় যায়? মানে ইডি, সিবিআই-এর হাতে উদ্ধার হওয়া টাকার ভবিষ্যৎ কী? পদ্ধতিটা একটু জটিল। তবে সেটাই সহজ করে আপনাদের বলব আজ এই প্রতিবেদনে।
বাংলার বালু বা বিহারের লালু- দুর্নীতির ছাপ সর্বত্র। অবিজেপি দলগুলোর এখন একটাই কথা। বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার শুধু নিজেদের অবস্থান মজবুত রাখতেই নাকি রাজ্যে রাজ্যে দুর্নীতি রুখতে তৎপর হয়েছেন আধিকারিকরা। অবিজেপি দলগুলোর দাবি, আসলে বিজেপি যেভাবে দু’একজন পুঁজিপতিকে সকল সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে, সেখানে বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। আর বিরোধী দলগুলোর আওয়াজ রুখতেই নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্দ্যেশ্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ চোখের সামনে যা দেখতে পাবেন সেটাকেই তো সবথেকে বড় প্রমাণ হিসেবে দেখা হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়ি হোক, অথবা রিসেন্ট ঘটে যাওয়া ধীরজ সাহুর নানান আস্তানা। তৃণমূল হোক বা কংগ্রেস- দলের ভাবমূর্তি ক্রমশই নীচের দিকে। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করছেন ইডি, সিবিআই বা আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এখন এতো টাকা যে উদ্ধার হচ্ছে, সেই টাকাগুলো যাবে কোথায়?
সেটাই বলছি এবার। ইডি, সিবিআই বা আয়কর দফতর হানা দিয়ে যে টাকা বাজেয়াপ্ত করে সেই টাকা কিন্তু নিজেদের কাছে রাখতে পারে না তারা। প্রথমে টাকা বাজেয়াপ্ত করার আগে একটা সুযোগ দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। সেটা আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য। সেই সময়ই হিসেব চান ইডি, সিবিআই বা আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বলা হচ্ছে, হিসেবের অঙ্ক যদি ঠিকঠাক অভিযুক্ত দিতে না পারেন, একমাত্র তখনই ইডি, সিবিআই বা আয়কর দফতর বাজেয়াপ্ত করার অধিকার পায়। টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়ে গেলে তখন ডাক পড়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার। তারপর ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা আসেন বাজেয়াপ্ত টাকা গোনার জন্য। জানানো হয় টাকার অঙ্ক কত। তারপর সামনে থাকেন একজন নিরপেক্ষ সাক্ষী। সেই সাক্ষীর উপস্থিতিতে বাজেয়াপ্ত টাকা বাক্সবন্দি করা হয়। বাক্সবন্দি করার পর সিল করে দেওয়া হয়। এরপর বাক্সবন্দি টাকা নিয়ে আসা হয় এসবিআই ব্রাঞ্চে। বাজেয়াপ্ত টাকা এরপর রাখা হয় পার্সোনাল ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকেই রাজস্ব খাতে চলে যায় সেই বাজেয়াপ্ত করা নগদ টাকা। খেয়াল রাখবেন, এই টাকা কোনভাবেই কিন্তু ইডি, সিবিআই ব্যবহার করতে পারবে না নিজেদের জন্য। অন্তত বিচারাধীন পিরিয়ডে। ১৮০ দিন পর্যন্ত সেই টাকা হোল্ড করে রাখা হয়। খেয়াল রাখবেন, বাজেয়াপ্ত টাকা আদৌ আয় বহির্ভূত নাকি বেআইনি পথে উপার্জিত- সেই সংক্রান্ত সকল প্রমাণ করার দায় বর্তায় কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপরেই। তারপর এখানেই একটা ব্যপার। যদি এই বাজেয়াপ্ত টাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা মানে ইডি, সিবিআই প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে আমানতকারীকেই। আর যদি অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে সেই টাকা জমা পড়ে যাবে সরকারের রাজস্ব খাতে।
বর্তমান সময়ের নেতা মন্ত্রীদের যা অবস্থা দেখা যাচ্ছে, তারপর এখন দুর্নীতি বা ইডি, সিবিআই এর নাম প্রত্যেকদিন শুনতে পাচ্ছি আমরা। আমরা মানে শুধু বাংলার কথা বলছি না। যে সকল রাজ্যে এখন বিজেপি শাসনে নেই, সেই সকল রাজ্যেই চলছে এমন ধরপাকড়। চলছে টাকার খোঁজ। কত কত টাকার হদিশ আর কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে সেটা বলবে সময়। আপাতত বাজেয়াপ্ত টাকা কোথায় যায়, সেটাই জানালাম আপনাদের। আজকের প্রতিবেদন ইনফরমেটিভ মনে হলে লাইক করুন শেয়ার করুন। মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। আর নতুন হলে ভুলবেন না সাবস্ক্রাইব করতে আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ