Trending
কোন প্রার্থী যোগ্য? কেই বা অযোগ্য? কথা বলবে প্রমাণপত্র। এবার যোগ্যতা যাচাইয়ের মুখে দেড় লক্ষেরও বেশি। তড়িঘড়ি নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। রাজ্যের সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকদের যোগদানের সময়ের নথি জমা করতে বলল স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার নির্দেশের ভিত্তিতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মারফৎ এই সমস্ত নথি জমা করতে হবে ডিআই অফিসে। নথির হার্ড কপি ভেরিফাই করবেন ডিআই কর্মকর্তারা। সব কাগজ খতিয়ে দেখে আগামী ৭ জুনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবেন ডিআই-রা। অ্যাপ্রুভড প্যানল, অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং অ্যাপ্রুভাল অফ অ্যাপয়েন্টমেন্টের নথি- এই সমস্ত কিছু ২৭ মে-র মধ্যে জমা করতে হবে। নথি জমা দিলে তবেই জানা যাবে, তারা যোগ্য নাকি অযোগ্য?
একদিকে নির্বাচনের মহল অন্যদিকে স্কুলে স্কুলে এখন গরমের ছুটি, তারই মধ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এই নির্দেশিকায় এখন বিভ্রান্তি চরমে। শিক্ষা মহলের প্রশ্ন, যে সমস্ত নিয়োগ প্যানেল নিয়ে আদালতে কোন মামলা নেই, সেই প্যানেল এবং তাঁর মাধ্যমে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের? এক্ষেত্রে শিক্ষানুরাগীদেড় একাংশের দাবি, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের সমস্ত তথ্য শিক্ষা দপ্তরের কাছেই রয়েছে। সেটা জানা সত্ত্বেও ৩০-৩৫ বছর ধরে করমরতদের নতুন করে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ অপ্রাসঙ্গিক। তবে, বিশেষ কারও ক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন থাকলে সেক্ষেত্রে তদন্ত করা হোক। সব শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের কাঠগড়ায় তোলটা কতটা বিচক্ষন সিদ্ধান্ত? এটা কি দুরনিতিকে আড়াল করার নতুন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন তাদের।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।