Daily

ময়দানে কুয়াশার চাদর, মিষ্টির দোকানে নলেন গুড়ের রসগোল্লা আর ওয়েলিংটনের ফুটপাথ জুড়ে রং বেরঙের শীতের পোশাকের পাহাড়ি পসরা – এসব নিয়েই তিলোত্তমার শীতের জলছবি আঁকে প্রকৃতি। নিপুণ হাতে, যত্ন করে। তবে দেরিতে হলেও, এবছর যে জাঁকিয়ে শীত পড়বে, সে বিষয়ে আমরা কম বেশি প্রায় সকলেই বেশ সচেতন। শহরে শীত নামবে আর পাহাড়ি পসরা সাজবে না, এমনটা হয়েছে কখনও?
নভেম্বরের শেষ। শীতের দেখা নেই। তাই বিকিকিনি সেভাবে শুরু না হলেও কিন্তু একেবারে শীতের মেজাজে সেজেছে ওয়েলিংটন ফুটপাথ। দীর্ঘ এক বছর পর পসরা সাজাতে পারে বেশ খুশি ব্যবসায়ীরা। ধর্মতলা থেকে লেলিন সরণি ধরে এগোলেই ওয়েলিংটন মোড়। আর তার গা ঘেঁষেই প্রতিবছর বসে এই শীতকালীন পসরা। হিমাচল প্রদেশ, নেপাল, দার্জিলিং, ভুটানের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নেমে আসেন পাহাড়িয়ারা। সঙ্গে থাকে নানা রঙের, নানা ডিজাইনের অজস্র পোশাক। ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান গড়ে টানা তিনমাস ব্যবসা করেন। লাভও মন্দ হয় না তাদের।
হ্যান্ডমেড সোয়েটার থেকে শুরু করে কাশ্মীরি চাদর, শাল, স্কার্ফ, জ্যাকেট সমস্ত কিছু এক্কেবারে জলের দামে বেঁচেন তারা। সকাল থেকে রাত, ক্লান্তিহীন ভাবে ক্রেতার সামনে মেলে ধরেন তাদের হাতে তৈরি এক একটা নিখুঁত শিল্পকর্ম। গতবছর ব্যবসা বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন তারা। এইমুহুর্তে পুরনো স্টক নিয়ে বসলেও, নতুন স্টক যে শীঘ্রই আসবে, সে কথাও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবছরেও পসরা সাজানো নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা।
তবে, দেরিতে হলেও, অনুমতি পাওয়া তো গেলো! অতিমারির দাপটে গতবছর ওয়েলিংটনের ফুটপাথ ভরা শীতের পোশাকে সাজানো পসরার চেনা ছবিটা কেমন যেনো ফিকে হয়ে গিয়েছিল। কারণ সংক্রমণের ভয়ে পসরা সাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। তবে এইবার মিলেছে ছাড়পত্র। তাই সুদূর পাহাড় থেকে সমতলে নেমে রং বেরঙের পোশাক সাজিয়ে বসেছেন ভুটিয়ারা। এখন বিক্রির আশায় বুক বেঁধে পারদ নামার অপেক্ষায় তারা।
ব্যুরো রিপোর্ট