Daily
ফের চোখ রাঙাচ্ছে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা। আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে ২০২৩ সাল নাগাদ। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৮ সাল নাগাদ আমেরিকার শেয়ার বাজারে ধস নামার কারণে যে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল গোটা বিশ্ব তার চেয়েও ভয়াবহ হতে চলেছে এবারের পরিস্থিতি। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার আশঙ্কা রয়েছে ৯৮.১ শতাংশ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতি তাতে বাড়তি প্রলেপ দিয়েছে। আর উচ্চ মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অর্থনীতিবিদদের একাংশের দাবি, চলতি বছরের শেষের দিকেই গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়তে চলেছে আর্থিক বিপর্যয়ের ঢেউ। ২০২৩ সাল নাগাদ সেটা আরও ভয়াবহ হতে চলেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১০ টি অর্থনীতির মধ্যে অন্তত ৭ টিই বলছে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা রয়েছে।
এর পাশাপাশি আগামী বছরে যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশও আর্থিক মন্দার কবলে পড়তে চলেছে, সে আশঙ্কাও করেছে ওইসিডি। তাদের দাবি, ২০২৩ সালে ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির হার পৌঁছতে পারে ০.৩ শতাংশে। এদিকে ভারত প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে থাকলেও লকডাউনের বিধিনিষেধ থাকার কারণে চিন কিন্তু বিপরীত পথে হাঁটছে। ফলে, ভারত এবং চিনের উপর নির্ভরশীল দেশগুলো ভুক্তভুগি হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হলে, খাদ্য এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্যের সাপেক্ষে জনগনের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে তৈরি হবে চরম সামাজিক অস্থিরতা। ব্যাহত হবে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য। আর যে কারনে উদ্বেগ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। আর অর্থনৈতিক মহলে মন্দা আছড়ে পড়লে বহু ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে শিল্পমহল এবং কর্পোরেট সংস্থা রসাতলে যাবে বলে আশঙ্কা করছে আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ.