Daily
করোনার করালগ্রাসে আজ গোটা ভারতবর্ষ। দেশের এমন কোন হাসপাতাল নেই যেখানে আজ উপচে পড়ছে না করোনা রোগীরা। হাসপাতাল, সেফ হোম কোন জায়গাই আজ খালি নেই। সব জায়গায় থিকথিক রোগীদের ভিড়ে।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিনরাত এক করে করোনা রোগীদের সংস্পর্শে এসে নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সেবা দিয়ে চলেছেন আজকের ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের উত্তরসূরীরা। কুর্নিশ জানাই আমরা। নতুন ভারতের এই লক্ষ লক্ষ ফ্লোরেন্সদের।
ভাইরাসের ছোঁয়া বাঘের ছোঁয়ার থেকেও অনেক অনেক গুণ বেশি। আত্মীয় থেকে পাড়াপড়শিরা সবাই যখন রোগীকে এড়িয়ে চলতে পারলেই বাঁচেন সেখানে ওরা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের মত হাতে মোমবাতির বদলে স্যালাইনের বোতল আইভি সেট নিয়ে রোগীর শয্যার পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করে চলেছেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর বারাসাত হাসপাতাল আজ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই ফ্লোরেন্সের এই উত্তরসূরীরা রোগীদের সেবা যত্নের মধ্যে দিয়ে অর্পণ করলেন তাঁদের শ্রদ্ধা। হাসপাতালের সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের এই সেবাকে রীতিমতো কুর্নিশ জানালেন হাসপাতাল সুপার।
জেলাসদর বারাসাত হাসপাতালে প্রতিদিনই উপচে পড়ছে রোগী। তিল ধারণের এতটুকুও জায়গা পর্যন্ত নেই। অথচ হাসিমুখে সবাইকে পরিষেবা দিয়েও যেটুকু পারা যায় সেটুকুর মধ্যে নিজেদের বিদ্যার যিনি প্রবাদপ্রতিম তাঁকে সম্মান জানালেন হাসপাতালের মধ্যেই মোমবাতি জ্বেলে।
একঘেয়ে ক্লান্তিকর জীবনে সিস্টারদের এই আন্তরিক প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, বলা ভালো কুর্নিশ করেছেন বারাসাত পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য অশনি মুখার্জি।
ফ্লোরেন্স আজ বেঁচে থাকলে দেখতেন সারা পৃথিবীতে আজ তিনি ছেয়ে আছেন শুধু নয়, হাসপাতালে হাসপাতালে প্রতিটি শয্যার পাশে আজ লক্ষ লক্ষ ফ্লোরেন্স দাঁড়িয়ে সেবা দিচ্ছেন। নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে।
অঙ্কিত মুখার্জী, উত্তর ২৪ পরগনা