Daily
পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারলে যে সফল হওয়া যায়, তার হাতে গরম প্রমাণ হচ্ছে ডব্লিউবিসিএডিসি গাইঘাটা প্রোজেক্ট। লক্ষ্য হচ্ছে, গ্রামের মানুষের আর্থিক উন্নয়ন। গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাষ-আবাদ থেকে শুরু করে ফিশারি, প্রাণীসম্পদ প্রতিপালন- প্রতিটা ক্ষেত্রে কীভাবে তাদের আরও উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে তারা। আজ বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরা পৌঁছে গিয়েছে তাদের এই বিপ্লবের সাক্ষী হতে। চলুন ঘুরে দেখা যাক, ঠিক কি কি শেখানো হচ্ছে এখানে।
কৃষি থেকে মাছ প্রতিপালন সব কিছুতেই রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছ চাষের এবং কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রামের প্রতিটা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে তারা। এছাড়াও প্রাণীসম্পদ উন্নয়নেও উৎসাহিত করেছে তাদের। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার আওতায় এখানে গ্রামের পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এখানকার কর্মকর্তারা।
পলি শেড হাউসে পান চাষ, হাইড্রফনিক ফডার তৈরি, টিস্যু কালচারের মাধ্যমে কলার চারা তৈরি, জলের পাত্রে গমের চারা তৈরি, মাশরুমের স্পন তৈরি, এই সমস্ত কিছুর প্রশিক্ষণ চলছে একই ছাতার তলায়। কেন এই ধরণের চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের? শুনে নেব ডব্লিউবিসিএডিসি গাইঘাটা প্রজেক্টের স্কিলড টেকনিক্যাল পারসন মোনালি সাহুর মুখ থেকে।
ফডার অর্থাৎ গমের চারা তৈরি করা হচ্ছে জলের পাত্রে গমের বীজ ফেলে। মাটির অভাব থাকলেও যাতে চাষিরা এই উপায়ে চারা তৈরি করতে পারেন সেই জন্যেই তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বলে রাখা ভালো, বাজারে পশুখাদ্য হিসেবে হাইড্রফনিক ফডারের ক্রেজ বেশ ভালোরকম।
শুধু কৃষিকাজ নয়। আমরা আগেই বলেছি মাছ চাষেও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। বিশেষত গ্রামের মহিলারা যাতে আর্থিক ভাবে এগিয়ে আসতে পারেন তার জন্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ডব্লিউবিসিএডিসি গাইঘাটা প্রোজেক্ট। পাড়ার প্রতিটি ঘরের উঠানে এখন পলি ট্যাঙ্কে মাছ চাষ করছেন মহিলারা। চাষ হচ্ছে শিঙি, মাগুর, ভিয়েতনামী কই, সহ বিভিন্ন ধরণের মাছ। ঠিক কি পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হবে? শুনে নিন।
গাইঘাটা প্রোজেক্ট থেকে সহজ পদ্ধতিতে মাছ চাষের ট্রেনিং পেয়ে উপকৃত হয়েছেন স্থানীয় মহিলা সন্ধ্যা রায়। ট্রেনাররা কীভাবে একেবারে পাশে থেকে ট্রেনিং দিয়েছেন সে কথাই বললেন তিনি।
এই গোটা প্রকল্প বাস্তবায়নে তারা পাশে পেয়েছেন স্থানীয় সেলফ হেল্প গ্রুপ এবং ১৩ টি সঙ্ঘকে। তারা সকলে এক সাথে মিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এমন নোবেল একটা ভাবনাকে বাস্তবায়িত করে চলেছেন। আগামী দিনে এই ধরণের প্রোজেক্টের মাধ্যমে গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের পথ আরও মসৃণ বলেই আশা রাখেন প্রজেক্টের কর্মকর্তারা।
সুব্রত সরকার
নদীয়া