Daily
স্বাধীনতার পর এই প্রথম। বাম কংগ্রেস ছাড়াই বসতে চলেছে এবারের রাজ্য বিধানসভা।
এবারের ভোটে একটি আসনও নিজেদের ঘরে তুলতে পারেনি বাম ও কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর থেকে যে রাজ্যের বিধানসভায় খারাপ বা ভালো যাই হোক না কেন বরাবর প্রতিনিধিত্ব করে এসেছে এই দুটি দল। সেই দল দুটির এমন হাল বেশ বেনজির বলেই মনে করছেন, সংসদীয় রাজনীতির বিশ্লেষকেরা।
১৯৪৬-২০২১ এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে আর যাই হোক কখনোই রাজ্য বিধানসভা বাম কংগ্রেস শূন্য হয় নি। এবারের নির্বাচনী ফলাফলের এটাও একটি উল্লেখযোগ্য দিক।
রাস্তায় থাকা রেড ভলেন্টিয়ার হাজারও যোগ্যতা নিয়েও কেন বিধানসভায় একজন প্রতিনিধিও পাঠাতে পারলেন না? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি বাংলার জনগণ কমরেডদের প্রত্যাখ্যান করল? বামেদের কি কোন জনভিত্তি ছিল না? নাকি বামেদের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তর? যদিও গতকাল বামেদের পরাজয়ের বিষয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুললেন পরাজিত প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। তন্ময় বাবুর প্রশ্নের উত্তর বাম নেতৃত্ব দেবেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি। তবে তন্ময় বাবু যে, সঠিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কংগ্রেসের শোচনীয় হার সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, তৃণমূল ও বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন। বলেছেন এই দুই দলের প্রচারের সামনে কংগ্রেস মানুষকে ঠিকঠাকভাবে বোঝাতে পারে নি।
এবারের বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা বিজেপি পেলেও সেই মর্যাদাকে কিভাবে রাজ্যের স্বার্থে, দায়িত্বশীল বিরোধী হিসেবে ব্যবহার করবে তাকেও কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা আলোচনার মধ্যে রেখেছেন। বিধানসভার দৈনন্দিন কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বকে যে বেশ মিস করতে চলেছেন তৃণমূলের নেতৃত্বরা তাও কিন্তু একান্ত আলাপচারিতায় স্বীকার করেছেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
ব্যুরো রিপোর্ট