Market
অকালবৃষ্টিতে ভাসল বাংলা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাগুলিতে জল থৈ থৈ অবস্থা। ধান থেকে সব্জি ক্ষেতের কয়েক হাজার হেক্টর জমি এখন জলের তলায়। বিশেষত দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগনা- কলকাতার বিভিন্ন বাজারগুলিতে সব্জির জোগান নির্ভর করে মুলত এই দুটি জেলার উপর। জেলার সব্জিক্ষেতগুলি জলের তলায় থাকায় কলকাতার বাজারগুলিতে জোগান কম। পাইকারদের ঘরে মালও কম। খুচরো ব্যবসায়িদের কাছে সব্জির চাহিদা থাকলেও জোগান যে বাড়ন্ত। তাই সব্জির দামও বেশ চড়া। বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাজার হাজার সব্জি চাষি। কারণ বাড়ি থেকে কৃষিজমি সর্বত্রই বানভাসি অবস্থা।
কোন গাছে ফল ধরেছে। কোন গাছে সবে এসেছে আনাজ। যে ফলন একদিন কৃষকদের মধ্যে আশার আলো দেখাতে পারত, আজ মেঘ ভাঙা বৃষ্টিই সেই আশার আলোতে নামাল অন্ধকার। এছাড়া তো বাড়ির ক্ষতি হয়েছেই। এখন যেন একটা দিন চালানোই কঠিন হয়ে উঠছে সুন্দরবনের কৃষকদের। ভাগ্যের পরীক্ষায় আজ তাঁরা অথৈ জলে।
তবে অসহায় কৃষক এবং মৎস্যচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত। ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কৃষকদের শোচনীয় অবস্থার কথা উঠে এলো ক্যানিংয়ের পূর্ব বিধায়ক শওকত মোল্লার গলাতেও।
কৃষকরা বিপদে পড়ায় তার আঁচ এসে পড়েছে কলকাতাতেও। সব্জি বাজারে দেখা দিয়েছে চরম সংকট। কারণ অকালবর্ষণ জমির পর জমি নষ্ট করে দেওয়ায় আজ কৃষকদের আগামীদিনগুলো যেমন কঠিন হয়ে উঠেছে তেমনই কলকাতার বাজারে সব্জির আকাল দেখা দেওয়ায় নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের।
দীপান্বিতা দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা