Trending
মোদী জমানায় তৈরি সাধের সংসদের কী বেহাল দশা! ১২০০ কোটি টাকা খরচ করে যে সংসদ বানানো হয়েছিল, সেই সংসদ নির্মাণের গাফিলতি প্রকাশ্যে এসে গেল। না, না কোন ছাদ থেকে জল চুইয়ে পড়ে নি। একেবারে সংসদ ভবনের মেঝেতে বইছে জলধারা। দেখুন, কী অবস্থা সংসদ ভবনের। সংসদ ভবনের মেঝেতে এভাবেই জলধারা বইছে! সংসদের এমন বেহাল অবস্থা প্রকাশ্যে আসতেই সর্বত্র রি রি পড়ে গেছে। অবশ্য এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করে নি বিজনেস প্রাইম নিউজ। তবে এই ভিডিও যিনি করেছেন, সেই ভিডিও-তেই কাউকে হিন্দিতে বলতে শোনা যাচ্ছে “ইয়ে হ্যায় হামারে রাজ্যসভা”। যা দেখে এবং শুনে সর্বত্র ট্রোলিং শুরু হয়েছে। আর ঐ ব্যাক ভয়েস থেকে শুনে মনে করা হচ্ছে রাজ্যসভার ভেতরেই হয়ত ঢুকেছে জল। দেখুন সেই ভিডিও।
১২০০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি সাধের নয়া সংসদ ভবনের এমন বেহাল অবস্থা কেন? অর্থাৎ এই জলস্রোত বইছে সংসদের উচ্চকক্ষে রাজ্যসভায়। কিন্তু একটু বৃষ্টি হতেই এমন জল থৈ থৈ অবস্থা কেন সংসদ ভবনের? লোকসভার সচিবালয় এই বিষয়ে এক দুর্দান্ত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যা শুনে অনেকেই তাজ্জব, আবার অনেকেই ব্যাখ্যা শুনে ট্রোলড করাও শুরু করে দিয়েছেন। কী বলা হচ্ছে জানেন? বলা হচ্ছে সংসদ ভবনের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এমন জলধারা বইবার কারণ কাচের গম্বুজ বা ডোম। কী ব্যাখ্যা করা হয়েছে জানেন, নতুন সংসদ ভবনে কাচের গম্বুজ জোড়া লাগানো হয়েছিল, সেই সকল গম্বুজ আটকানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এক ধরণের আঠালো পদার্থ। বলা হচ্ছে, সেই আঠালো পদার্থ ঠিকঠাকভাবে হয়ত কাজে দিচ্ছে না। ফলে ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। কিন্তু গম্বুজ থেকে চুইয়ে পড়া জল সংসদ ভবনের মেঝেতে এভাবে বয়ে যাবে স্রোতের মতন, সেটা কোনভাবে মানা সম্ভব?
গত বৃহস্পতিবারেই সংসদ ভবনের ছাদ থেকে জল পড়ার ছবিটা প্রকাশ্যে এনেছিলেন তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ মণিকম ঠাকুর। সেই ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায়, সংসদ ভবনের মেঝেতেও জল ভর্তি। কি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার জন্য অগত্যা বালতির উপরেই ভরসা রাখতে হয়েছে। কিন্তু এখন যে নতুন করে আবার পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠল। মোদী সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কার্যত বারবার বিরোধীদের কাছে তো বটেই এমনকি দেশবাসীর কাছেও ভালোরকম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এনডিএ সরকারকে। সংসদ ভবনে যা অবস্থা, তারপর আবার রাম মন্দির। অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়েও ভালোরকম বিপাকে পড়তে হয় এনডিএ সরকারকে। ঢাকঢোল পিটিয়ে যেভাবে রাম মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল, বর্ষা শুরুর মরশুমে বিপত্তির মুখে পড়তে হয় তাকেও। বলা হয় রামলালার গর্ভগৃহের ছাদ থেকে যেভাবে জল পড়ছে তা কার্যত মেনে নেন পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস নিজেই। সেই সময় শ্রীরামজন্মভূমির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে বলা হয়, এই জল আসছে বিদ্যুতের তার বেয়ে। সেই ব্যাখ্যাও যে খুব একটা ধোপে টেঁকে নি, সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আর রাম মন্দিরের পর এখন আবার সংসদ ভবনের এই অবস্থা। যা আবারও বিড়ম্বনায় ফেলে দিল এনডিএ সরকারকে। তবে আবারও বলছি, এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করে নি বিজনেস প্রাইম নিউজ।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ