Agriculture news
চাষের জমিতে জল জমে থাকলে চাষের ক্ষতি। ধানের জমি হলে তো চাষের অবস্থা আরও বেগতিক। তখন ক্ষতির বহর বাড়বে বৈ কমবে না। তাহলে উপায়? সেই উপায়ের কথা জানতেই বিজনেস প্রাইম নিউজের প্রতিনিধি পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। তারপর? কৃষকদের পরিত্রাণ মিলবে কিভাবে? সেটাই বলব আজকের প্রতিবেদনে।
বৃষ্টি যদি বাঁধভাঙা হয় আর বাঁধের খুঁটিতে যদি জোর না থাকে, তাহলে সেই বাঁধ ভেঙে তো পড়বেই। গত কয়েকদিনে নিম্নচাপের কারণে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে জলমগ্ন অনেক এলাকা। কিছু কিছু জায়গায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। তার মধ্যে অন্যতম পটাশপুর। প্রশাসন সূত্রের খবর পটাশপুর এ সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বাগুই নদীর জল উপচে প্লাবিত হলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর বিধানসভায় এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম। নৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পদিমা, চকগোপাল সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম গুলিতে হু হু করে ঢুকছে জল।
বেশ কিছু মাটির বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। রাস্তাঘাট চলে গেছে জলের তলায়। ডুবে গেছে বহু পুকুর। চাষের জমি। কিন্তু এটাই হল খরিফ মরশুমে ধানচাষের আদর্শ সময়। অতিবৃষ্টির ফলে এদিকে মাঠঘাট জল থইথই। আবার জলাধার থেকে জলছাড়ার ফলে কোথাও কোথাও নদীর জল উপচে ধান চাষের ক্ষেতে প্রবেশ করেছে। যার প্রভাবে অতিরিক্ত জলের চাপে ধানচাষের ক্ষেতে জল মাঠে ভরে গিয়েছে। এই জল কয়েকদিন যদি মাঠজুড়ে থাকলে ধানগাছে পচন সৃষ্টি হবে। ফলে বহু টাকা খরচ করে কৃষক মাঠে যে ফসল ফলিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ ক্ষতির শিকার হবে।
তাহলে উপায়? অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এরকমই পরিস্থিতি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর ঘটাল,দাশপুর ১ এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া, কোলাঘাট,পটাশপুর ১,পটাশপুর ২ ব্লক সহ একাধিক ব্লক এলাকার কিছুকিছু ক্ষেত।বর্তমান এই পরিস্থিতিতে ঘাটল ব্লকের দেওয়ানচক ২ অঞ্চল এলাকায় কৃষিক্ষেত পরিদর্শণে আসেন ব্লকের কৃষি আধিকারিক সৌরভ চট্টরাজ। প্রসাদচক, রাধাবল্লভপুর, ভাগীরথপুর সহ একাধিক জলমগ্ন গ্রাম পরিদর্শণে যান এবং দেওয়ানচক ২ গ্রামপঞ্চায়েতে কৃষকদের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কৃষকবন্ধুদের সেই বিষয়ে পরামর্শও দেন ঘাটাল ব্লকের কৃষি আধিকারিক সৌরভ চট্টরাজ।
তাহলে শুনলেন তো? এখন আপনারা যারা শ্রম এবং অর্থ বিনিয়োগ করে সোনার ফসল ফলাবেন ভেবেছিলেন এবং অতিবৃষ্টির কারণে যে সোনার ফসল নষ্ট হবার সম্ভাবনা বেশি, সেই সোনার ফসলকেই রক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞানের সাহায্য প্রয়োজন। কৃষি আধিকারিকদের উপদেশ গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে অকালে ঝড়ে যাবে সকল ফসল। তাই কৃষকবন্ধুদের বলছি, সমস্যা যখন তৈরিই হয়েছে সমাধানও রয়েছে। কৃষি আধিকারিকের কথা শুনে চলুন। আর যদি কোন জিজ্ঞাস্য থাকে তাহলে যোগাযোগ করুন কৃষি দফতরে। প্রতিবেদনটি লাইক করুন। শেয়ার করুন। অন্যান্য কৃষকবন্ধুদের জানান। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ