Daily
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল রাজ্যের চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন। বেলা গড়াতেই রাজ্যের চার জায়গায় ভোটদানের হার একটু করে বাড়তে থাকে।
দুপুর ১ টা পর্যন্ত কোচবিহার দিনহাটায় ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ। গোসাবায় ভোট পড়েছে ৫২ শতাংশ। শান্তিপুরে ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ। এবারের উপনির্বাচনে সবচেয়ে নজরকাড়া কেন্দ্র খড়দহে ভোট পড়েছে ৩৭ শতাংশ।
কোচবিহার দিনহাটা এবং খড়দহে বিজেপি প্রার্থীদের আটকানোর ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। মোটের উপর এখনো পর্যন্ত এই উপনির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো রকম হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
খড়দহে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার ব্যানারে তৃণমূল প্রার্থীর পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হলেও বিতর্ক পিছু নেয় গোসাবায় তৃণমূল প্রার্থীর গলায় দলীয় উত্তরীয় ঝোলানোকে কেন্দ্র করে।
এদিন খড়দহের সকাল-সকাল ভোট দেন প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহা। এদিন খড়দহের পানশিলায় বেণীমাধব স্কুলে ৯৯ নম্বর বুথে ভোট দেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়িকা লাভলী মৈত্র। ভোটের হার একটু কম হলেও শেষ পর্যন্ত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ই জিতবেন বলে তিনি মনে করেন।
খড়দহ বিধানসভা নির্বাচনে ১টা পর্যন্ত পরিস্থিতি তুলে ধরলেন আমাদের প্রতিনিধি।
দুপুর ১টা পর্যন্ত শান্তিপুরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটদান পর্ব মোটামুটিভাবে শান্তিতেই রয়েছে। এখানেও এবার ঘাস ফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। তবে জল জঙ্গলে ঘেরা গোসাবায় জয়ন্ত নস্করের অকাল প্রয়াণে দলের মার্জিন আরো বাড়বে বলেই মনে করেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মন্ডল।
গত বিধানসভা নির্বাচনে এই চারটি আসনের দুটি ছিল তৃণমূলের দখলে আর দুটি ছিল বিজেপির দখলে। তবে এবারের নির্বাচনে তৃণমূল এই চারটি আসন নিজেদের ঝুলিতে পুরতে বদ্ধপরিকর বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অভিমত।
দেবাশীষ বিশ্বাস, রনি চ্যাটার্জী, দীপান্বিতা দাস
দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা