Agriculture news
মূল্যবৃদ্ধির কোপ কোথায় পড়েনি বলুন তো? সারের দামও নিত্যদিন বাড়ছে। চাষ করতে গিয়ে মূল্যবৃদ্ধির ঠেলা সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। তাই রাসায়নিক সারের পরিবর্তে যদি কেঁচো সার ব্যবহার করা হয়, তাহলে চাষিদের ফলনও রাসায়নিক সারের থেকে অনেকটা ভালো হবে। আর ফলন ভালো হলে, চাষিরাও আয়ের সুস্থ একটা পথ খুঁজে পাবেন। তাই কৃষকদের স্বার্থেই এবার কেঁচো সার বানাতে উদ্যোগী হয়েছেন অনেকেই। যেমন উত্তর দিনাজপুরের অবেন দেবশর্মা।
কৃষি দফতরের সহায়তা পেয়েছেন তিনি আগেই। আর যে কারণে নিজের বাড়ির উঠোনেই কেঁচো সার তৈরি করে স্বনির্ভর হয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মির্জাপুর গ্রামের অবেন দেবশর্মা। গোরুর গোবর, কলাগাছ এবং কচুরিপানা মিলিয়ে তিনি তৈরি করছেন ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। ধনকৈল পঞ্চায়েতের মির্জাপুর গ্রামের অবেন দেবশর্মা রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার আর্থিক সহায়তায় তৈরি করেছেন এই ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির পরিকাঠামো। আর সুফলও পাচ্ছেন ভালোরকম। মাত্র ৫ মাসেই এই পিট থেকে পাওয়া যাবে ২০ কুইন্টাল সার। সামান্য উৎপাদন খরচ বাদ দিলে এই কেঁচো সার থেকেই ভালোরকম আয়ের দিশা দেখতে পাচ্ছেন অবেন দেবশর্মা।
কৃষি দফতর সার তৈরির পিট করে দিয়েছে। এখন এই সার তৈরির গোবর আসে বাড়ির গরু থেকেই। অবেন বাবুর নিজস্ব কলাবাগান রয়েছে। সেখান থেকেই পাওয়া কলা গাছ। আর গ্রামের জলাশয় থেকে নিয়ে আসেন কচুরিপানা। গোবরের মধ্যে কুঁচি করে কলাগাছ ও কচুরিপানা মিশিয়ে দিতে হয়। আর সার তৈরির বাকি কাজটি করে কেঁচো। সব মিলিয়ে দেখা যায়, অবেন দেবশর্মার খরচ যে খুব বেশি পড়ে এমন নয়। কিন্তু সামান্য পরিশ্রম করে যে পরিমাণ কেঁচো সার উৎপন্ন হয়, সেখান থেকেই ভালোরকম উপার্জনের পথ খুঁজে পেয়েছেন তিনি। খোলা বাজারে বিক্রি করছেন ১০ টাকা কেজি দরে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়ার জন্য জমির স্বাস্থ্য এবং মানুষের স্বাস্থ্য- দুইই ক্ষতিকর রাসায়নিকের হাত থেকে বাঁচছে। আর কেঁচো সারের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে দাম কম হওয়ার কারণে। ফসলের উৎপাদন ভালো হওয়ায় খুশি এলাকার কৃষকরা।
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর