Daily

কথায় আছে,’ যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’। শুধু কথায় বলছি কেন! বাস্তবেও তো এমনটাই ঘটছে। নয়ত আগাছা থেকেও যে আয় করা যায়, এমনটা কেউ কোনোদিন ভেবছিল?
চাষের জমিতে চাষের পর আগাছা হিসেবে গাছের গোড়া ফেলে দিচ্ছেন কৃষকরা। আর সেই আগাছা দিয়েই চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের ফুলদানি বানিয়ে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙ্গার আরখালি, রফিপুর, তালসা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শিল্পীরা। উপার্জনও করছেন হাজার হাজার টাকা। গ্রামের ৪০ টা পরিবারের পেট চলে এই ফুলদানি তৈরি করে।
গ্রামের প্রচুর মানুষ এখন যুক্ত হয়েছেন এই কাজে। রোজগারের বিকল্প উপায় খুঁজে পেয়েছেন তারা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তাদের তৈরি এই ফুলদানি পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশের বাজারেও। চিন কিংবা আমেরিকা, অথবা ধরুন সিঙ্গাপুর- ডাইনিং হলের অন্যতম দৃষ্টি আকর্ষণকারী বস্তু হয়ে উঠেছে এই আগাছায় তৈরি সুন্দর ফুলদানি।
রাস্তার ধারে পরে থাকা কপির গোড়া, বেগুন গাছ, বট, অশ্বত্থের পাতা, কাশফুল কিংবা বুনো আমড়ার আঁটি সংগ্রহ করে কেমিক্যালে ভিজিয়ে গরম জলে ফোটানোর পরে সেগুলো দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই ফুলদানি এবং রং বেরঙের ফুল। যা বিক্রি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন এলাকার মানুষজন।
ফেলে দেওয়া আগাছা যে এভাবে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাতে পারে, সেই বিষয়ে আগে অবগত ছিলেন না তারা। তাই সেসব আগাছা হয় জ্বালিয়ে দিতেন অথবা পচিয়ে ফেলতেন। তবে এখন শিল্পের যথাযথ দাম পাওয়ায় খুশি এই ফুলদানি শিল্পীরা। বেশি রোজগারের উপায় খুঁজে পাওয়ায় হাসি চওড়া হয়েছে তাদের।
বিক্রম লাহা
উত্তর ২৪ পরগনা