Daily
বাগান জুড়ে তার আঙুর গাছের সামিয়ানা। কোথাও আবার ক্লান্তিহীনভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন গাছগুলো। অন্যদিকে চোখ ফেরাতেই দেখলেন, ফলের ভারে ঝুঁকে পরা ন্যাসপাতি গাছগুলো আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে তাদের ফল সাম্রাজ্যে। বাগানের ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে দেখলেন, মাটির সাথে মিশে থাকা স্ট্রবেরিগুলো আপনার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রয়েছে। আর এই সকলের সাথে আপনার দেখা হবে দেগঙ্গায়।
দার্জিলিঙের কমলালেবু, কাশ্মীরের আপেল, নাসিকের আঙুর থেকে শুরু করে মালবেরি, মুসম্বি লেবু, চাইনিজ কমলা, আম, বেদানা সহ আরও অনেক রকমারি ফল নিয়ে নিজের বাড়ির বাগানে চাষ-আবাদ শুরু করেন দেগঙ্গার বাসিন্দা হায়াত আলি। কিছুদিন যেতে না যেতেই এই বিকল্প চাষে ব্যাপক সাফল্য পান তিনি।
দীর্ঘ দু বছর মেয়াদি লকডাউনের কারণে ঘরে বসে গিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু দেগঙ্গার হায়াত আলি এক্ষেত্রে এক্সেপশন। পেশায় ট্রাকচালক হায়াত আলি ট্রাক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের সুবাদে বিভিন্ন বাগানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে তার। তাই লকডাউনের মধ্যেই নিজের বাড়ির বাগানে একগুচ্ছ শীতকালীন ফলের চাষ শুরু করেন তিনি। চাষবাসের যাবতীয় আইডিয়া অবশ্য পেয়েছেন ইউটিউব থেকেই। গাছের প্রতি আগ্রহ তার বরাবরেরই। তাই মাথায় আইডিয়া ক্লিক করতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েন তিনি। আর এখন, গাছের ফলন দেখে রীতিমত খুশি তিনি।
হায়াত আলির এই রকমারি চাষের বিষয়টি নজরে এসেছে এলাকার কৃষি দপ্তরের। এমন অভিনব বাগান ঘুরে দেখতে এসেছিলেন এলাকার বিডিও, জনপ্রতিনিধি সহ আরও অনেকেই। গতানুগতিক চাষের বাইরে বেরিয়ে এমন অভিনব বাগান তৈরি করায় সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা। এই ধরণের প্রকল্প এলাকার কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।
হায়াত আলির এই ধরণের প্রচেষ্টা যাতে আরও প্রচার পায় এবং তাকে দেখে আরও অনেক চাষিরা এমন অভিনব চাষের মাধ্যমে আয়ের দিশা খুঁজে পান, এখন সেই চেষ্টাই করছেন জেলার কৃষি আধিকারিকরা।
বিক্রম লাহা