Trending
রয়েছে, রোবোটিক এন্ডোস্কপি, ভেন্টিলেশন, আইসিইউ, অত্যাধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা। যেখানে বিশালাকার হাতি থেকে ছোট্ট পাখি- সবার চিকিৎসা সম্ভব। গুজরাটের জামনগরে ২৫ হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যানিম্যাল রেসকিউ সেন্টার।
ছোটবেলায় পশুপাখির প্রতি প্রেমই আজ বনতারা তৈরির আসল রসদ রিলায়েন্সের ডিরেক্টর অনন্ত আম্বানির। সারা বিশ্ব ঘুরে এই বিষয়ে জেনেছেন, বুঝেছেন, অ্যানালিসিস করেছেন এবং সবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যবসায়িক স্রিব্রিদ্ধি নয়। বরং এই প্রোজেক্ট তাদের সিএসআর-এর মধ্যে পরে বলেই মনে করেন অনন্ত আম্বানি।
বাইটঃ This is not for Business…
গুজরাটের জামনগরের এই ২৫ হাজার একর জমিতে যে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে সেখানে এত নবেল একটা প্রোজেক্ট তৈরি করা যেতে পারে, সেটা অনেকেরই হয়ত ভাবনার অতীত ছিল। কিন্তু অনন্ত আম্বানি তার বাস্তব রুপ দিলেন। ইতিমধ্যেই এখানে প্রায় ২৫ হাজার অসুস্থ আহত বন্য প্রাণীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। উন্নত চিকিতসামাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলা হয়েছে। রুখা-সুখা জমিতে বসেছে প্রচুর গাছ-গাছালি। চারিদিকে সুধু সবুজের ছোঁয়া। আর সেই সবুজের ছোঁয়ায় কমেছে ওই অঞ্চলের তাপমাত্রাও।
২৫ হাজার একর অঞ্চলের হাসপাতাল এরিয়া ছাড়াও রয়েছে ৩ হাজার একরের ফাকা জায়গা, যেখানে চারপাশে শুধুই গ্রিনারি। বন্য প্রানিদের নিজস্ব জগত তৈরি করে দেওয়ার জন্য এই জায়গাতেই তৈরি হয়েছে নিজস্ব পুল, জলাশয় আর ১৫ টা রান্নাঘর। যেখানে প্রতিদিন ১ টনেরও বেশি খাবার তৈরি করা হয়।
এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ টিরও বেশি অসুস্থ হাতিকে উদ্ধার করে করেছে বনতারা অ্যানিমাল রেসকিউ সেন্টার। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে, এখানে উদ্ধার করা বন্য পশুদের কোন বদ্ধ ঘরে রেখে চিকিৎসা করানো হয় না। বরং রাখা হয় সবুজের কাছেকাছি। যাতে তাদের স্বাভাবিক অভ্যাসে কোনরকম সমস্যা দেখা না দেয়।
এ তো গেল এক দিক। পশু–পাখিদের ওপর গবেষণা ও মনস্তত্ত্ব বোঝার জন্য দেশ–বিদেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয় এখানে এসে কাজ করছে। এছাড়াও গবেষণার জন্য যুক্ত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভেশন অফ নেচার এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড ফর নেচার। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের জু- কে একছাতার তলায় এনেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর এই নবেল প্রোজেক্ট। যেখানে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে গুজরাত, আসাম, নাগাল্যান্ডের জু-এর কর্তৃপক্ষরা। বনতারায় তারা সকলেই কাজ করছেন কাধে কাধ মিলিয়ে।
পশু চিকিৎসক হন বা পশু বিজ্ঞানী, তারা প্রত্যেকেই এখানেই এখনই গিবেশনার সুজগ পাচ্ছেন। আগামীদিনে স্কুলের বা কলেজের স্টুডেন্টরা এডুকেশনাল এক্সকারশনের সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন অনন্ত আম্বানি। কাজেই পরিবেশ, প্রকৃতির বদল ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে ‘বনতারা’ যে এখন প্রাণীদের নিজস্ব পৃথিবী, তা বলাই যায়।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।