Trending
বঙ্গবাসীর প্রিয় শৈল শহর দার্জিলিং ছাড়া আর কিই বা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের প্রেমে পড়েন নি এমন মানুষ বিরল। তাই শীত, গ্রীষ্ম যখনই ছুটির মরশুম পাওয়া যায়, তখনই সমতলের মানুষ ছুটতে শুরু করেন পাহাড়ে। ট্রেন বুকিং-এর জন্য পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। আর শুধু পর্যটনের খাতিরেই নয়। বহু মানুষ আছেন, যারা নিজেদের ব্যবসার কাজে হামেশাই পাহাড় এবং সমতলে ছোটাছুটি করেন। তাই উত্তরবঙ্গের ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আর সবদিক মাথায় রেখেই এবার রেল দফতর উপহার দিতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সমতল থেকে খুব তাড়াতাড়ি ছুটবে পাহাড়ের উদ্দ্যেশ্যে। অপেক্ষা করতে হবে না দীর্ঘ সময়ের। কারণ, মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছনো সম্ভব কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি।
রেল মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, যদি সব ঠিক থাকে তাহলে বন্দে ভারতের জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না বঙ্গবাসীকে। তার কারণ, ইতিমধ্যেই ট্রেনটি চালানো নিয়ে যাবতীয় জল্পনা-কল্পনা মেটাতে চলেছে খোদ রেল দফতর। জানা গিয়েছে, যদি প্রাইম মিনিস্টার অফিস থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া যায়, তাহলে আর খুব বেশিদিন ধৈর্য ধরার প্রয়োজন নেই। কারণ, মনে করা হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর থেকেই নাকি ছুটতে দেখা যেতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাকা। এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বর থেকেই নাকি ছুটতে দেখা যেতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাকা ।
বন্দে ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সেমি হাই স্পিড ট্রেন। যার সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৮০ কিমি। অত্যাধুনিক নিরাপত্তা, অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্য। বর্তমানে দেশজুড়ে মোট ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু রয়েছে। তবে এই ৬টি ট্রেনের মধ্যে এখনো একটি ট্রেনও উপহার পায়নি বাংলা। ফলে লম্বা দূরত্বের সফরের সময় কমে আসার মতন অভিজ্ঞতা বাংলার মানুষের এখনো হয়নি। এমনিতেই চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে ২৭টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। মনে করা হচ্ছে সব ঠিক থাকলে হাওড়া থেকে রাঁচি, পাটনা, ভুবনেশ্বর পর্যন্ত চলতে পারে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে সবার আগে আপাতত হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির রুটেই চালানো হবে বন্দে ভারত। সেক্ষেত্রে ট্রেনের টাইম টেবিল কি রাখা হবে, জানা যায়নি এখনো পর্যন্ত।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি