Trending

ক্ষীরাই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজ বেশ পরিচিত নাম ক্ষীরাই। প্রকৃতি যেন নিজে হাতে রং-তুলির দায়িত্ব নিয়েছে ক্ষীরাইকে ঢেলে সাজাবার জন্যে। যতদূর চোখ যাবে, ততদূর অবধি বাহারি ফুলের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর বাংলার এই ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে দাঁড়িয়ে আপনার মুখ থেকে তখন কেবল একটাই শব্দ বেরোবে। ‘বাহ’।
কলকাতা থেকে মাত্র ৭৫ কিমি দূরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশকুঁড়া ব্লকে অবস্থিত ক্ষীরাই গ্রাম। যেখানে দিনরাত এক করে মাটিতে বাহারি ফুলের চারা রোপণের মাধ্যমে বাগানের শ্রীবৃদ্ধি করে চলেছেন চাষিরা। এততুকু ক্লান্তি নেই তাঁদের। আর বাহারি ফুলের এই অনাবিল সৌন্দর্য মিস করার চান্স নিচ্ছেন না পর্যটকেরা। ভালবাসার দিন উদযাপনের দোহাই দিয়ে ঠিক পৌঁছে যাচ্ছেন কাঁসাই নদীর ধারে এই ফুলের দেশে। ফুলের হেয়ারব্যান্ড মাথায় পরে রীতিমত উচ্ছসিত তারা।
মুলত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকের ঢল নামে বাগান জুড়ে। আর এই সময়কে লক্ষ্য করেই গড়ে ওঠে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান। কেউ বিক্রি করেন ফুলের চারা। কেউ আবার যত্ন করে বানান ফুলের হেয়ারব্যান্ড। আর এই সব কিছু দাম দিয়ে কিনেও নিচ্ছেন ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। প্রতি বছর ফিরে ফিরে আসার কথাই শোনা যাচ্ছে তাঁদের মুখে।
তবে এতকিছুর পরেও কেমন যেন বিষণ্ণ ফুল চাষিরা। তিল তিল করে গড়ে তোলা তাঁদের সৃষ্টিকে নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে দেখছেন তারা। লাভের থেকে লোকসানের বহরই বেশি তাঁদের। ক্ষীরাইতে পর্যটকের ঢল দেখেও কি বললেন হতাশ কৃষক, শুনুন।
গত দুবছর ধরে শর্ট ডিস্ট্যান্স ট্রিপের লিস্টে মোটামুটি উপরের দিকেই নাম রয়েছে ক্ষীরাইয়ের। আর তাই শীতের আমেজ কাটিয়ে বসন্তের রোদ গায়ে মেখে ভালবাসার দিনের ডেসটিনেশন হয়ে উঠেছে ক্ষীরাই।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর