Daily
ভ্যাকসিন নিয়ে ভোগান্তির শিকার বাংলাবাসী। বাঁকুড়া থেকে বোলপুর। বসিরহাট থেকে কলকাতা। সর্বত্রই চলছে ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার। কোথাও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝুলছে নোটিশ। কোথাও বা আবার তালা মারা ভ্যাকসিন সেন্টারের গেটে।
কেউ দাঁড়িয়ে প্রথম ডোজের লাইনে। কেউ দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়। প্রচণ্ড গরমে ঠাঠা পোড়া রোদে লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না কোন সদুত্তর। উল্টে সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে থাকছে লাইন থেকে সংক্রমিত হবার ভয়। এর মধ্যে কোন কোন জায়গায় আবার পিছনের দরজা দিয়ে ভ্যাকসিন পাচারের অভিযোগও তুলতে শুরু করেছেন রাজ্যবাসী।
দেশে যখন করোনা সাড়ে ৩ লক্ষ পার করেছে, রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ছুঁইছুঁই করছে ১৬ হাজারের ঘর, ঠিক তখনই রাজ্য জুড়ে ভ্যাকসিনের বেনজির সংকটে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যেই আগামী ১মে থেকে দেশজুড়ে হতে চলেছে সার্বিক গণটিকাকরণ অভিযান। সেই গণ টিকাকরণের আগেই রাজ্যের সর্বত্র ভ্যাকসিনের যে আকাল দেখা দিয়েছে তা রীতিমত শিউরে ওঠার মত বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
দেশ তথা রাজ্যে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের জন্য নির্বাচন কমিশনকেই ইতিমধ্যে দায়ি করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সংক্রমণের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নেই রাজ্যের তালিকাটাও। বেড থেকে অক্সিজেন। আকালের মধ্যেই ভ্যাকসিনের সংকট কোথায় গিয়ে দাঁড় করাবে রাজ্যটাকে? প্রশ্ন তুললেন চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে রাজ্যে তড়িঘড়ি ভ্যাকসিনের সরবরাহ ঠিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতির সমালোচনা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বলেছেন এক দেশ এক মিশন যদি হতে পারে তবে এক দেশে ভ্যাকসিনের ভিন্ন দাম হবে কেন? এর মধ্যেই অষ্টম দফার ভোট পার করতে না করতেই ভোট গণনার উল্লাসে রাজনৈতিক কর্মীরা মেতে উঠলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন রাজ্যবাসী? সেই প্রশ্নও তুলতে শুরু করলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
ব্যুরো রিপোর্ট