Daily

করোনার চোখ রাঙানি থেকে যখন ভারতবাসী কিছুটা থিত হতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই দেশবাসীর চিন্তাকে উস্কে দিয়ে শিরোনামে এলো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকসিস। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমনের চিন্তা অল্পবিস্তর নাড়া দিয়েছে সকলকেই। ইতিমধ্যেই ছত্রাকের সংক্রমণ সম্পর্কে প্রকাশ করা হয়েছে নানান তথ্য।
কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে এবং স্টেরয়েড থেরাপি প্রয়োজন কিংবা যারা ভেন্টিলেশনে আছেন তাঁদের এই কালো ছত্রাক সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ তো বটেই। তবে জানেন কি? কোভিড ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আপনার যে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র মাস্ক, তাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই হুঁশিয়ারিই দিচ্ছেন। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) সিনিয়র নিউরোসার্জেন্ট ডা. পি শরৎচন্দ্র বলেন, কোভিড চিকিৎসার ছয় সপ্তাহের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঝুঁকি সর্বোচ্চ। এছাড়াও একই ফেস মাস্ক দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন তিনি। ডা. পি শরৎচন্দ্র জানান, প্রতিটি এন ৯৫ মাস্ক পাঁচবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের পর প্রতিদিনই ধুয়ে নিতে হবে। কাপড়ের মাস্ক স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় রাখলে সেখান থেকে ছত্রাক জন্মাতে পারে। সপ্তাহের প্রতিদিন মাস্ক আলাদা মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিসংখ্যান বলছে ইতিমধ্যেই ভারতে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড সম্পর্কিত মিউকরমাইকসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চললে যে ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রমণ আটকানো সম্ভব তা বলার অবকাশ রাখে না।
ব্যুরো রিপোর্ট