Trending
ভারত ভ্রমণে আসতেই পারেন কিন্তু সাবধান…এই কথাটা আমাদের ভারতীয়দের জন্য কতটা লজ্জার! কারণ যে দেশ এই কথা বলছে, তার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আপাত মধুর। তবে পুতিনের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ সাম্প্রতিক সাক্ষাৎ দেখে সেই দেশের এখন গাত্রদাহের উপক্রম। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আমাদের দেশে যারা পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা। কথা হচ্ছে আমেরিকার। আপাতত বাইডেন সরকারের একটি নির্দেশিকা কার্যত পর্যটন ব্যবসার বুকে থাবা বসাতে চলেছে। সত্যি বললে, বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কমে যেতে পারে। বাইডেন সরকার এক সতর্কতা জারি করেছে তার নাগরিকদের উদ্দ্যেশ্যে। বলেছে, জম্মু-কাশ্মীর, মণিপুর এবং মাওবাদি এলাকাগুলোয় কখনই ভিজিট করবেন না। এড়িয়ে চলুন। ভারত ভ্রমণ সাবধানে করুন। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ভারতে অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত।
ভারতে প্রতি বছর লাখ লাখ বিদেশিরা আসেন। তাঁরা আসেন পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে। ফরেন ট্যুরিস্ট আসার তালিকায় আমেরিকা রয়েছে একটা বড় জায়গায়। প্রতি বছর ভারতে আসা ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে আমেরিকানের সংখ্যা প্রায় ২২%। আমেরিকার তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, ভারতে নাকি অপরাধের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। তাই ভারত ভ্রমণ নাকি এখন ঝুঁকির। তার মধ্যে কিছু কিছু এলাকার অবস্থা নাকি উদ্বেগজনক। তার মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, মণিপুরের মত এলাকা। এখানে পর্যটকদের যেতে মানা করে দিয়েছে বাইডেন সরকার।
একটা বিষয় শেয়ার করা যাক আপনাদের সঙ্গে। পর্যটনে ঝুঁকি রয়েছে এমন একটি তালিকা প্রকাশ্যে আনলে দেখা যাবে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্তরে। আর কাশ্মীর, মণিপুর এবং সীমান্তবর্তী এলাকা সহ মাওবাদি উপদ্রুত এলাকাগুলো রয়েছে সতর্কতার চতুর্থ স্তরে। অর্থাৎ মার্কিনী পর্যটকদের জন্য যা ভালোরকম উদ্বেগের। এখানে একটা বিষয় জানিয়ে রাখি যে, বাইডেন সরকার অদ্ভুতভাবে লেহ বা পূর্ব লাদাখে যেতে কোন মানা করেনি। এরপরেই দেশের পর্যটন ব্যবসা ভালোরকম আঘাত পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বহু পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন অনেকে আছেন যারা আগে থেকে ভারত ভ্রমণের জন্য নির্দিষ্ট সূচি করে রেখেছিলেন, এখন তাঁরা সেগুলো বাতিল করে দিচ্ছেন। ঘুরতে আসার আগে নানা খোঁজখবর নিচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, এসবের কারণে বিশ্বের কাছে এক নেগেটিভ ইমেজ পৌঁছতে পারে ভারত ভ্রমণের বিষয় নিয়ে। তবে এখানেই একটা বিষয়।
আমেরিকা- ডলার ছাড়া যাদের কলার তোলার মত আর কিছু তেমন নেই। যে দেশ পৃথিবীর সবথেকে ধনী, যাদের নাক বিশ্ব রাজনীতির অলিতে গলিতে ঢুকে পরার চেষ্টা করে, সেই দেশ যে প্রতি সেকেন্ডে শান্তির বার্তালাপ করে এদিকে ইজরায়েলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অস্ত্র দেওয়া থেকে শুরু করে সবরকমের সহযোগিতা করছে, যে দেশ ক্রাইম ইন্ডেক্সে রয়েছে বাহান্ন-য়, যে দেশে বন্দুক বিক্রি হয় চকলেটের মত, যে দেশ নাগরিকের হাতে জীবন রক্ষার্থে হাটে বাজারে পয়সা ফেলে বন্দুক কিনে আনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে রেখে দেয়, সেই দেশ যদি ভারতের ক্রাইম নিয়ে কথা বলতে যায়, বিষয়টা ব্যাঙের মুখে হাতির নিন্দা করার মত। এই কথাগুলো বলার কারণ আরও আছে। এই মুহূর্তে বাইডেনের অবস্থা কি সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। বয়সজনিত কারণেই বাইডেন সরে এসেছেন। তাঁর আলটপকা মন্তব্যের জন্য অস্বস্তিতে পড়ছে তাঁর দলের সদস্যরাই- এই যেমন জেলেন্সকিকে পুতিন সম্বোধন করছেন, হ্যারিসের নাম মুখে আনতে গিয়ে ট্রাম্পকে ডেকে ফেলছেন। এই সব দেখে তো এমনিই আমেরিকার নির্বাচনে এখন ট্রাম্প ছাড়া কেউ কিছুই করতে পারবে না বলে মনে হচ্ছে। ট্রাম্পের কান ঘেঁসে বেরিয়ে গেছে বুলেট। যা দেখে মোদী বলেই ফেলেছেন, মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড। যাই হোক, একদিকে যথেচ্ছ বন্দুক বিক্রি আর অন্যদিকে শান্তির বার্তা- বিষয়টা যেন আমেরিকার দাদাগিরি দেখানোর মতনই। অবশ্য সেটাই দেখিয়ে এসেছে তারা। আর পুতিনের সঙ্গে পুতিনের বাড়িতে মোদীকে নৈশভোজ সারতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকা ভারতের প্রতি একটু কড়া হতেই চাইল। এই বার্তা দিতে চাইল যে, মোদী যদি পুতিনের পাশে থাকেন তাহলে রাশিয়াকে যুদ্ধে অগ্রদূত হওয়াটা বন্ধ করে দিক ভারত। কিন্তু ভারত এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবে? তবে আমেরিকার চোখ রাঙানি যে ভারত সহ্য করছে না সেটা একটু তাদের আঁতে লেগেছে বলাই যায়। তাই অপমানিত বাইডেন সরকার এভাবে পর্যটন ব্যবসায় তাদের লম্বা নাকটি গলাতে চাইছে? জানান কমেন্ট বক্সে। দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ