Trending
আমেরিকার অর্থনীতি কি ধসে যাবে?
অদূর ভবিষ্যতে ক্র্যাশ করবে আমেরিকার শেয়ার মার্কেট?
হারিয়ে যেতে বসছে ডলার নির্ভরতা, ডলারের বিশ্বাসযোগ্যতা?
এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বিশ্ব অর্থনীতির আনাচে-কানাচে। তাহলে কী ইমপ্যাক্ট পড়তে চলেছে দেশের শেয়ার বাজারে? ঘেঁটে যাবার উপক্রম হবে না তো বিশ্ব অর্থনীতি? আসুন আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা সারা যাক এই বিষয়টা নিয়েই।
সদ্য গ্লোবাল ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ফিচ খোদ আমেরিকাকে নিয়ে একটা রেটিং দিয়েছে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে যে, আমেরিকার ক্রেডিট রেটিং ট্রিপল এ থেকে কমে হল ডবল এ প্লাস। তারপরেই নাভিশ্বাস উঠছে তাবড় অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের। আচ্ছা তার আগে বলি, এই রেটিং কী? দেখুন, সরকার অনেক সময়েই বিভিন্ন বন্ড নিয়ে আসে। বাজেট করা হলে দেখা যায়, সরকারের আয় কমছে এদিকে ব্যয় বাড়ছে। তখন সরকার টাকা কোথা থেকে আনবে? হয় নিজের অ্যাসেট বিক্রি করবে। আর না-হলে বন্ড নিয়ে আসে। যার মাধ্যমে টাকা কালেক্ট করে সরকার। আর দিতে হয় ইন্টারেস্ট রেট। ভারতের ইন্টারেস্ট রেট এখন বিবিবি-। যা আসলে লোয়ার মিডিয়াম গ্রেড। তবে পাকিস্তান বা ইরাকের অর্থনীতি আরও নিচে। এই রেটিং যত নিচে যাবে, ততই বোঝা যাবে সেই দেশের অর্থনীতি ততটাই অন্ধকারে চলে যাচ্ছে।
আমেরিকার রেটিং ছিল ট্রিপল এ। যা এই তালিকার একেবারে ওপরের দিকে। আমেরিকার অর্থনীতি বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি। আর এখন ফিচ ট্রিপল এ থেকে কমিয়ে করেছে ডবল এ প্লাস। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে আমেরিকার অর্থনীতি কোথায় যাচ্ছে? এর পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ফিচ বলছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে আমেরিকার অর্থনীতির অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। বলছে ফিসকাল ডেটরিয়েট করছে ভালোরকম। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, সরকারের ওপর ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়তে চলেছে। গত ২০ বছরে অর্থনীতির যা অবস্থা হয়েছিল সেই ফল ভুগতে হচ্ছে এখন আমেরিকার অর্থনীতিকে। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন কি আদৌ এই রেটিং মেনে নিয়েছে? একেবারেই না। হোয়াইট হাউজ, ইউএস ট্রেজারি- প্রত্যেকেই ফিচ রেটিং সংস্থার এই মূল্যায়নকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, আমেরিকার স্টক মার্কেট এরপর ক্র্যাশ করতে পারে। কিন্তু মার্কিন মুলুক বলছে, সেই পরিস্থিতি একেবারেই তৈরি হবে না। তবে আমেরিকার জন্য বিশ্ব অর্থনীতি এখন ঘেঁটে যেতে পারে। যেমন ভারতের শেয়ার বাজার। গতকালই সেনসেক্স নেমে গেছিল ১% মতন। খেয়াল রাখবেন, বিশ্বের তাবড় ইনভেস্টরদের সবথেকে বিশ্বাসের জায়গা হল মার্কিন অর্থনীতি। আর ফিচ এই রেটিং কমাতেই সামান্য হলেও ইনভেস্টরদের মনে অনাস্থা তৈরি হতে পারে।
ফিচ বলছে, আমেরিকার বাজেট প্রসেস খুব জটিল। একইসঙ্গে ভালোরকম ট্যাক্স কাটা, ইকোনমিক শক আসা, অনেক নতুন জায়গায় খরচের ফ্লো বেড়ে যাওয়ায় ভালোরকম চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন মুলুকে ক্রমশই বাড়ছে বেকারত্ব। ফলে সব মিলিয়ে দেখা গেল, আমেরিকার অর্থনীতি কিন্তু ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামছে। আর তাতেই বেশ সংকট তৈরি হচ্ছে মার্কিন মুলুকে। তাহলে কি আমেরিকায় ধীরে ধীরে জটিল হচ্ছে অর্থনীতির পরিস্থিতি? বিশ্বব্যাপী সেই প্রভাব কতটা পড়বে জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করে নিন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ