Daily

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাশ টেনে ধরল আদিত্যনাথের সরকার। হাম দো হামারে দোর নীতিকে হাতিয়ার করে কড়া হয়ে উঠল যোগী রাজ্যের আইন। যেখানে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ল কমিশন প্রথম খসড়া বিল পেশ করে সুপারিশ করেছে যে, ২টি বা তার কম সন্তান থাকলে তবেই পাওয়া যাবে ইনসেন্টিভ। কিন্তু ২ এর বেশি সন্তান থাকলেই একগুচ্ছ সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তার মধ্যে যেমন বলা আছে, সরকারি স্কিমের কোন সুবিধা পাওয়া যাবেনা, রেশন কার্ডে চার ইউনিট পর্যন্তই সামগ্রী পাওয়া যাবে। আবেদন করা যাবেনা সরকারি চাকরির। সরকারি কর্মচারি হলে ত্যাগ করতে হবে পদোন্নতির আশা।
অন্যদিকে তেমনি ২ সন্তান বা তার কম থাকে কর্মজীবনে ২টি বাড়তি ইনক্রিমেন্ট মিলবে। ভর্তুকি পাওয়া যাবে বাড়ি বা জমি কেনায়। জাতীয় পেনশন স্কিমে ইপিএফের সুবিধা পাওয়া যাবে বাড়তি ৩%। পাওয়া যাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা। একটি সন্তানের ক্ষেত্রে কুড়ি বছর বয়স পর্যন্ত মিলবে বীমার সুবিধা। একটি সন্তান থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে অগ্রাধিকার। আর যদি একটি কন্যা সন্তান হয়, তাহলে তো স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করানো যাবে নিখরচায়। স্কলারশিপ পাওয়া যাবে উচ্চশিক্ষায়। এমনকি সরকারি চাকরিতেও থাকবে তার অগ্রাধিকার।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সম্প্রতি জানিয়েছেন তারাও দুইয়ের অধিক সন্তান হলে সরকারি পরিষেবা সুযোগ বন্ধ করে দেবেন। তাকে মূলত মুসলিম সম্প্রদায়কে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দিতে দেখা গেছে।
ব্যুরো রিপোর্ট