Market

তেলের চড়া দাম এবং কয়লার ঘাটতি নিয়ে এবার দেশকে সতর্কবার্তা দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেইসঙ্গে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জর তরফে জানানো হয়েছে এই দু’টি বিষয় আগামী দিনে আর্থিক কর্মকাণ্ডকে এমন শ্লথ করতে পারে যে, চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার হয়তো ৬.৫ শতাংশেই আটকে যেতে পারে।
অথচ তাদের পূর্বাভাস ছিল এই বৃদ্ধির হার ৮.৪% হবে। আর এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে তারা বলছে মূলত সরবরাহ সমস্যা। তাদের দাবি এতে দেশে খাদ্যের নিরাপত্তা নষ্ট হতে পারে। কমতে পারে প্রকৃত আয়। যা অর্থনীতির পক্ষে ভবিষ্যতে ভাল হবে না।
যদিও সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই বার্তা সেরকমভাবে কোনো কাজে দেবেনা বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, গত এক বছরে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দর বেড়েছে প্রায় ৫০%। যা গত দু’মাসের সর্বোচ্চ। ফলে জল্পনা চড়ছে, শীঘ্রই কি তা সেঞ্চুরি হাঁকাবে? ব্রোকারেজ সংস্থা জেপি মর্গ্যান অবশ্য জানাচ্ছে এই আশঙ্কা অমূলক নয়। এ বছর পণ্যটির দর ১০০ ডলার তো ছাড়াতে পারেই, পরের বছর তা ১৫০ ডলারে পৌঁছে যাওয়াও অসম্ভব নয়।
এই প্রেক্ষিতেই ভারতে তেলের দর নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, যা পরিস্থিতি, তাতে পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটলেই তেলের দাম ফের বাড়তে পারে।
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে আর্থিক কর্মকান্ড স্লথ হয়ে গেলেও ওমিক্রনের দাপটে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধের পক্ষে প্রায় কোনও দেশই হাঁটছে না। ফলে কমছে না তেলের চাহিদাও। বরং ঠান্ডার দেশগুলিতে জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমান মাত্রায় উত্পাদন বাড়ানো যাচ্ছেনা ও এই ক্ষেত্রে ইদানীং বিনিয়োগ কম হওয়াই এর অন্যতম কারণ। জেপি মর্গ্যানের বিশ্লেষকদের বক্তব্য, খুব তাড়াতাড়িই অপরিশোধিত তেলের দাম ৩০ ডলার বাড়তে পারে। তবে মর্গ্যান স্ট্যানলির মতে, এ বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তা ৯০ ডলার ছাড়াতে পারে।
ব্যুরো রিপোর্ট