Trending
তাহলে কী বলা যায় বিএসএনএলের পাশে বিজেপি? কথাটা কি খুব অযৌক্তিক ঠেকতে পারে? নাকি কিছুটা অবিশ্বাস্য মনে হবে? অনেকেই তো বলেছিলেন যে, বিজেপি আসার পর যেভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একের পর এক বেসরকারিকরণের দিকে চলে যাচ্ছিল, সেখানে এবারে যেন খানিক উলটপুরাণ হতেই দেখা গেল। এবারের বাজেটে নির্মলা সীতারামন যা ঘোষণা করেছেন, তার সঙ্গে মত পার্থক্য অনেকের থাকতে পারে। কিন্তু সেটা টেলিকম সেক্টরের জন্য কতটা কি ফলপ্রসূ হল? স্পেশ্যালি বিএসএনএল যখন আবার নতুন উদ্যমে ময়দানে নামার চেষ্টা করছে?
টেলিকম সেক্টরের জন্য এবারের বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা। টেলিকম মন্ত্রকের আন্ডারে নানা ধরণের টেলিকম প্রোজেক্ট এবং পাবলিক সেক্টর ফার্মগুলোর জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাহলে এগুলোর মধ্যে বিএসএনএলের ভাগ্যে কত বরাদ্দের শিকে ছিঁড়ল? বলা হচ্ছে, যত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তার মধ্যে বিএসএনএল এবং এমটিএনএল এক্সপেন্সের জন্য অধিকাংশটাই খরচ হতে পারে। আমরা যদি বিএসএনএলের কথাই ধরি, তাহলে বলতে হবে, বিএসএনএল নিজের প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশনের জন্য আর এতদিনের ভাঙা ঘর মেরামত করার জন্য পাচ্ছে অনেকটাই। অঙ্কটা প্রায় ৮২ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। আচ্ছা, এখানে একটা বিষয় বলে রাখি। টেলিকম সেক্টরের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার মধ্যে পেনশনারি বেনিফিটের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১৭ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। সেটা টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীদের কথা ভেবে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে বিএসএনএল, তেমনই রয়েছে এমটিএনএল বা মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড।
এবারে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বাজেট বক্তৃতায় মাদারবোর্ডের ওপর ইমপোর্ট ডিউটি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদি আরও ভালো করে বলতে হয়, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের ইমপোর্ট ডিউটি ৫% বৃদ্ধি পায় তাহলে ডোমেস্টিক টেলিকম ম্যানুফ্যাকচারিং-এ অনেকটাই সুবিধে হবে। স্পেশ্যালি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডে বেসিক কাস্টমস ডিউটি ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হল। অতএব, যা দেখা যাচ্ছে, টেলিকম সেক্টরের জন্য কিছুটা হলেও নরেন্দ্র মোদী সরকার এবার দরাজ হয়েছে। এটা তো সত্যি কথা যে, বিএসএনএলের জন্য টেকনিক্যাল আপগ্রেডেশনের প্রয়োজন রয়েছে। এখন যেখানে ৪জি ছেড়ে ৫জি হয়ে আগামীতে ৬জির প্ল্যান করছে বেসরকারি কোম্পানিগুলো, সেখানে বিএসএনএল সবেমাত্র ৪জি পরিষেবায় নামছে। তার জন্য বিএসএনএলকে সবদিক থেকে সাহায্য করছে টিসিএস। আর টিসিএস আসার পরেই বিএসএনএলের ভাগ্য বদলাতে চলেছে বলেই সর্বত্র শোনা যাচ্ছে। এবারের বাজেট ঘোষণার পর বিএসএনএল নিজের পরিষেবাকে আরও মসৃণ করার জন্য যে উঠেপড়ে লাগবে, সেটাও খুব নতুন কথা নয়। এখন শুধু অপেক্ষা, কত তাড়াতাড়ি বিএসএনএল নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে টিসিএসের হাত ধরে, সেটাই দেখার।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ