Trending
ইউনিকর্নের সংখ্যা বাড়ছে কোথায়? মোদী সরকারের সকল প্রচেষ্টা কি তাহলে দিনের শেষে বেনোজলে? চলতি বছরে ইউনিকর্নের সংখ্যা কমেছে। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে ইন্ডিয়ান স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেমে। একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরে ভারত মাত্র তিনটি ইউনিকর্ন হাতে পেয়েছে। যাদের ভ্যালু ১ বিলিয়ন ডলার করে ছাড়িয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছে ওয়েলথ হুরুন ইন্ডিয়ান ফিউচার ইউনিকর্ন ইন্ডেক্স ২০২৩।
মোদীর আত্মবিশ্বাস যে জনমানসে সেভাবে ক্লিক করছে না সেই নিয়ে অনেকেই এটা-ওটা বলছেন। তাঁদের বক্তব্য, মোদী বিশ্বাসের জায়গাটা শক্তপোক্ত রাখলেও ইউনিকর্নের সংখ্যা হ্রাস নিঃসন্দেহে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে, তাহলে কি সত্যিই দেশে স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম তেমনভাবে কাজ করছে না? উঠছে আরেকটা প্রশ্ন। তার মানে কোথাও গিয়ে হয়ত দিনের শেষে বিনিয়োগকারীরা ভরসার জায়গাটা খুঁজে পাচ্ছেন না। বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কমলে দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ কমতে শুরু করবে। আর বিনিয়োগের অঙ্ক কমলে সেটা প্রভাব ফেলবে সরাসরি দেশের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টে। এক বছর আগেই দেশে ইউনিকর্নের সংখ্যা যেখানে ছিল ৮৪ মতন, সেটা কমে দাঁড়ায় ৮৩-তে। এখন বিষয়টা হচ্ছে, এভাবেই যদি ইউনিকর্নের সংখ্যা কমতে শুরু করে তাহলে দেশের ইকোনমিতে ঘনিয়ে আসে রহস্য। রহস্যটা কী?
মোদী সরকার দেশে-দেশে ভ্রমণ করছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভরসাও কুড়িয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও বিনিয়োগ করছেন না তাঁরা। মানে দিনের শেষে মোদী ম্যাজিক কাজ করছে না। সেটাই কি তাহলে সত্যি বলে ধরে নিতে হবে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গলদ লুকিয়ে স্টার্ট আপ মডেলগুলোর মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, স্টার্ট আপ সংস্থাগুলো যে মডেলে নিজেদের কাজ করতে চাইছে, আর যাই হোক সেগুলো কখনই লম্বা রেসের ঘোড়া নয়। স্বাভাবিকভাবেই স্টার্ট আপ সংস্থাগুলো ভালোরকম ধাক্কা খাচ্ছে। আর মডেল ঠিকঠাক তৈরি না করার জন্য সঠিক বিনিয়োগের জায়গা তৈরি করতেও ব্যর্থ হচ্ছে তারা।
এখানেই জানিয়ে রাখি, ইন্ডিয়ান স্টার্ট আপের সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল সেটা গোটা দেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভালোরকম আশাভরসার অক্সিজেন জুগিয়েছিল। অনেকে আবার বলছেন, এখনো সেই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে ইউনিকর্নের সংখ্যা পৌঁছে যেতে পারে ২০০-য়। বর্তমানে চিনে ইউনিকর্নের সংখ্যা ১ হাজার। অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যদি ভারতে সংখ্যাটা ২০০-য় পৌঁছে যায়, ততদিনে চিনে আরও কত ইউনিকর্ন তৈরি হবে। অর্থাৎ ফারাকটা আরও বাড়বে বৈ কমবে না। কিন্তু দেশের এই র্যাপিড ইকোনমিক গ্রোথের জন্য ইউনিকর্নের সংখ্যাটা বৃদ্ধি পাওয়া খুবই প্রয়োজন। না হলে স্বপ্নপূরণ যে অধরাই থেকে যাবে। মোদ্দা কথা, যেভাবে হোক বাড়াতে হবে ইউনিকর্নের সংখ্যা। তার জন্য প্ল্যান প্রোগ্রাম মোদী সরকারকেই তৈরি করতে হবে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ