Market
আংশিক লকডাউনেও চোখ রাঙাচ্ছে বেকারত্ব। একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজপথ সাজাচ্ছে, সেন্ট্রাল ভিস্তার মত একাধিক প্রকল্পকে জরুরি ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর তখন অন্যদিকে সিএমআইই দিল এক ভয়াবহ তথ্য। জানা গিয়েছে, গত ১৬ মে বেকারত্ব পৌঁছে গিয়েছে ১৪.৪৫%-এ। এক সপ্তাহের মধ্যে যা লাফিয়ে বেড়েছে দ্বিগুণ এবং ৫০ সপ্তাহের মধ্যে যা দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ।
কোভিডের দ্বিতীয় ঝড় জনজীবনে ব্যপক প্রভাব ফেলতে শুরু করলেও ধীর গতিতে ঘুরতে থাকা অর্থনীতির চাকাকে লকডাউন করে আবারও ব্রেক কষে থামিয়ে দেবার প্রয়োজন দেখায় নি কেন্দ্রীয় সরকার। সমস্ত রাজ্যের ওপর লকডাউনের ভার ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে সংক্রমণ ক্রমশ চওড়া হতে থাকায় বিভিন্ন রাজ্য কিছুটা বাধ্য হয়েই হেঁটেছে আংশিক লকডাউনের পথে। বাদ যায়নি বাংলাও। কিন্তু বেকারত্বের পরিসংখ্যান যে ভয়াবহ তা স্পষ্ট হল সিএমআইই-র দেওয়া তথ্য থেকেই।
বেকারত্বের অন্যতম কারণ হিসেবে লকডাউন, বিধিনিষেধ তো রয়েছেই। একইভাবে নতুন চাকরির জন্য দরবার করছেন না অনেকেই। অর্থনীতিও যে চাকরি দেবার মত শক্তিশালী জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেই কথাও বলা যাচ্ছে না। তাই বিরোধীদের প্রশ্ন এখন সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। দেশের দুঃসময়ে কোটি কোটি টাকা রাজপথ বা সেন্ট্রাল ভিস্তার মত প্রকল্পের পেছনে খরচ না করে বেকারদের জন্য আয়ের দিশা কেন খুঁজে দিচ্ছে না কেন্দ্র? যখন এটা পরিষ্কার যে বিদ্যুৎ গতিতে সংক্রমণের বৃদ্ধি এবং মৃত্যুর ছবিটা দেশবাসীর মনে ইতিমধ্যেই একটা আতঙ্কের ছাপ ফেলে দিয়েছে?
ব্যুরো রিপোর্ট