Daily
শেয়ার বাজারের উল্কা গতি। প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপির সুপারসনিক জাম্প। পরিষেবার শিল্পে আবারো প্রাণ। সব মিলিয়ে বিগত কয়েক মাসে অর্থনীতির ধারাবাহিক পারফরম্যান্স পরিসংখ্যানের বিচারে এমনটাই দাবি করছে যে, ভারতীয় অর্থনীতিতে আবারো বইছে সুদিনের আশ্বাস। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের একাংশ একে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না।
অর্থনীতির পিচে বিএসসি সেন্সেক্স রাহুল দ্রাবিড়ের মত টেস্ট খেললেও পূর্ণিমার চাঁদে কিন্তু কলঙ্কের মতো ফুটে উঠেছে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের হার। অর্থনীতিবিদদের পরিভাষায়, যা কিনা এক বালতি দুধে একফোঁটা গোচনার মত।
গোটা বিশ্বে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলেও বেকারত্বের হার এই ২০২২ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ৫.৭ শতাংশে। আনুমানিক ২০৫ মিলিয়ন মানুষ বেকারত্বের অন্ধকারে থাকবে, যা কি না ২০১৯ সালের থেকে অনেকটাই বেশি।
চলতি আর্থিক বছরে মে, জুন, জুলাই, অগাস্ট চার মাসে দেশের সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের হার ছিল মে মাসে – ১১.৮৪ শতাংশ । অগাস্ট মাসে এসে সেই হার কমে হয় ৮.৩২ শতাংশ। যা কি না গোটা বিশ্বের বেকারত্বের হারের থেকে অনেকটাই বেশি।
অর্থনীতিবিদদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন ঠিক এই জায়গাটাটেই। শেয়ার বাজারে যখন চলছে বৈশাখের ঝরো হাওয়া। প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি-র আস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঠিক তখনই ভারতে বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়ছে কেন? দেশে বেকারত্ব যখন বাড়ছে ঠিক তখনই একের পর এক কোম্পানি শেয়ার বাজারে লঞ্চ করতে চলেছে তাদের একের পর এক আই পি ও।
কংগ্রেস, তৃণমূলসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা অভিযোগ করছেন আসলে এগুলি সবই কেন্দ্রীয় সরকারের ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো পরিসংখ্যানের জাগলারি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি যদি এতই ভালো হবে তবে দেশে বেকারত্বর হার ক্রমবর্ধমান কেন?
২০১৯ সালে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে সবথেকে বড় প্রতিশ্রুতি ছিল দেশে আচ্ছে দিন ফিরিয়ে আনা। আচ্ছে দিন আসল কি না সেটা নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদদের পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। ভারতের মত দেশে বেকারত্ব কমানোর মেকানিজম যদি অবিলম্বে চালু না করা হয় তবে সরকার যে জনপ্রয়তা হারাবেই সে কথা বলাই বাহুল্য।
ব্যুরো রিপোর্ট
++