Trending
বাংলাদেশ নিয়ে আপনাদের আর নতুন করে কিছু বলার নেই
অস্থির ওপার বাংলা
আক্রান্ত সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ
এবার সেদেশে শান্তি সেনা পাঠানোর কথা শোনা যাচ্ছে
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের একটি বয়ান দিয়েছেন
আর এই শান্তিসেনার প্রসঙ্গ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ছাপানোতোর
সম্প্রতি ভারতের সংসদের লোকসভায় এই কথা তুলে ধরেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
কিন্তু কিছুতেই থামছে না নির্যাতন
হিন্দুর উপর আক্রমণ থেকে শুরু করে
ইস্কনকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা
সনাতনী হিন্দু নেতার গ্রেফতারি
তালিকা জেনো ক্রমেই লম্বা হচ্ছে
তবে বাংলাদেশে শান্তি সেনা পাঠানোর বিষয়ে তৃনমূলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন শান্তি সেনার সঙ্গে কাজ করেছি। খুব কম দেখা গেছে যে কোনো দেশে শান্তি সেনা পাঠানো হয়। যদি সেই দেশের শাসন ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস হয়ে যায় সেক্ষেত্রেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে হয় না, তবে আপাতভাবে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগ জনক।
সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরীণ সংসদীয় রাজনীতিতে একটা বিষয় সামনে এসেছে তা হল, কেন্দ্রে ইন্দিয়া জোটের মুখ হিসেবে সামনে আনা হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিত্নু এই বিষয়ে নারাজ কংগ্রেস। আর শান্তি সেনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতার এই বিরূপ মন্তব্য কি আসলে সেই মমতাকে জাতিয় রাজনীতিতে জায়গা না ছাড়ার জন্যই – বিতর্ক এই নিয়েও অব্যাহত
সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মহঃ তৌহিদ হোসেন শান্তি সেনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশ বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতের বন্ধত্ত্ব চায়। একথা ঠিক যে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক আমলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
তৌহিদ হোসেনের এহেন মন্তব্যের পর তার এই প্রত্যেক আমালের কথাটা নিয়ে কাঁটাছেরা শুরু হয়েছে। আসলে তিনি এখানে শেখ হাসিনার কথা বলতে চেয়েছেন।
এবার আপনাদের জানাবে কি এই পিস কিপিং ফোর্স বা শান্তি রক্ষা বাহিনী। ইউনাইটেড নেশন দ্বারা পরিচালিত হয় এই বাহিনী। সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এই বাহিনীর মূল লক্ষ্য। এই বাহিনী আয়নেও বৃহৎ। বিশ্বের ১২৪ টি দেশের মধ্যে মোট ৯১০০০ ট্রুপ কাজ করে এই শান্তি সেনায়। কোন একটি দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিঘ্নিত হলে সেখানে গিয়ে শান্তি স্থাপনের কাজ করে এই বাহিনী। এই শান্তি সেনার প্রধানত ৩ টি নীতি। প্রথমত সংঘর্ষে জড়িত দুটি দেশের সম্মতি পেলেই শান্তি সেনা সেই দেশে পা দেবে। দ্বিতীয়ত উক্ত দেশে কাজ করতে গেলে সংঘর্ষে জড়িত দুটি দেশের থেকেই সমদূরত্ব ও নিরপেক্ষতে বজায় রেখে কাজ করবে শান্তি সেনা। আর তৃতীয়ত এই বাহিনীকে রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও প্রতিরক্ষা ছাড়া অন্য কোনো কাজে এই বাহিনীকে ব্যবহার করা যাবে না।
এবার প্রশ্ন হলো কি হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ?
যে দেশকে কিছুদিন আগেও তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম উদীয়মান আর্থিক শক্তি বলা হতো আজ কোথায় সেই দেশের অবস্থান?
কি হবে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিণতি?
ভাষাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি সেই দেশে কেন মাথাচাড়া দিচ্ছে মৌলবাদ ?
কেন আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যা লঘু হিন্দু ?
প্রশ্ন অনেক। উত্তর অজানা।
তাই বাংলাদেশে শান্তি সেনা পাঠানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবকে কি আপ্নিউ সমর্থন করেন ? কমেন্ট করে জানান। জনমত তৈরি করতে এই প্রতিদেনটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। আর Subscribe করে সঙ্গে থাকুন Business Prime News. জীবন হোক অর্থবহ