Market

একদিকে জ্বালানির কামড়। অন্যদিকে অনিশ্চয়তা। করোনা দেখিয়ে দিল অনেক কিছুই। মানুষের হাতে কমেছে পুঁজি। চড়া মূল্যবৃদ্ধি। হেঁশেল ঠেলতে গিয়েই মানুষের উঠছে নাভিশ্বাস। তার উপর রয়েছে বেকারত্বের কামড়। এই পরিস্থিতিতে মানুষ খুব বিপদে না পড়লে হাতের পুঁজি খরচ করতে চাইছে না। কিন্তু ক্রেতা আর বিক্রেতার সম্পর্কটাই তো একে অন্যের পরিপূরক। তাই একদিকে যেমন ক্রেতা খরচের ভয় পাচ্ছেন, তখন অনিশ্চয়তা বাড়ছে বিক্রেতাদের মধ্যেও। এই যেমন দু’চাকা শিল্প বা টু হুইলার সেক্টর।
জানেন তো, দু’ চাকার গাড়ি ব্যবসার নিরিখে ভারত এগিয়ে রয়েছে একেবারে সামনের দিকে। করোনা ভাইরাসের নামটুকু পর্যন্ত যখন কেউ জানত না, সেই সময় টু হুইলার সেক্টর ভারতে কার্যত দাপিয়ে বেড়াত। একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৯ অর্থবর্ষে ভারতের ২৯৬ মিলিয়ন মানুষ দু’চাকা গাড়ি ব্যবহার করতেন। কিন্তু এই সেক্টরেও যে অনিশ্চয়তা বাসা বাঁধবে, সেটা আর কে জানত?
করোনার থাবা এসে পড়ায় বিশ্বে গোটা ব্যবসার মানচিত্রটাই পাল্টে গেল। ফলে যা হওয়ার তাই হল। যে সকল শিল্পক্ষেত্রগুলো একটা সময় দেশের অর্থনীতিকে জ্বালানি দিত সেই সকল শিল্পে নামল ভাটা। পরপর দুটো ঢেউয়ের ধাক্কায় কার্যত বেহাল হয়ে পড়ল এই দু’চাকার ব্যবসা। তার উপর বাড়ল গাড়ির দাম। সবমিলিয়ে টু-হুইলার শিল্পে ব্রেক পড়ল ভালোরকম। ইক্রার তথ্য বলছে, এই জানুয়ারিতে বিক্রি নেমেছে ২০২১ এর জানুয়ারির থেকে ১৪ শতাংশ।
সেমিকন্ডাক্টরের ঘাটতির জন্য গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং হয় দেরিতে। গাড়ি তৈরির সংখ্যাটাও বেশ কমে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু টু হুইলার কোম্পানিগুলো গাড়ির দাম বাড়িয়ে দেয়। তারপর যাও বা ক্রেতাদের দু’চাকার গাড়ি কেনার দিকে আগ্রহ তৈরি হচ্ছিল এমন সময় এসে পড়ে ওমিক্রনের ভয়। সবমিলিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। কিন্তু যত যাই হোক। পরিস্থিতি ঘোরার ইঙ্গিত পেয়েছে টু হুইলার সেক্টর। গাড়ি তৈরির বিভিন্ন পার্টস বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় ভারতকে। করোনার ধাক্কা সামলে উঠেছে আমদানি-রফতানির পথ। ফলে আশা করাই যায়, টু হুইলার সেক্টর ফিরে পাবে তার সুদিন।
ব্যুরো রিপোর্ট