Trending

গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগে গড়িমসি করাতে এবার আদালতের রোষে পড়তে হল টুইটারকে। মঙ্গলবার কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়েই টুইটার পক্ষের আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। জানতে চান, গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করতে আর কতদিন সময় লাগবে? বিচারপতি আরও বলেন, এভাবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সময় দেওয়াও সম্ভব নয়। পরবর্তী শুনানিতে টুইটার পক্ষের আইনজীবীর কাছ থেকে এই বিষয়ে সঠিক উত্তর আশা করেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করা নিয়ে টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। কেটে গেছে বেশ কয়েকমাস। কিন্তু টুইটারের পক্ষ থেকে আসেনি কোনরকম উত্তর। নিয়োগ করা হয়নি কোনরকম ভারতীয় আধিকারিককেও। আর যে কারণে কেন্দ্রের নিয়ে আসা নতুন আইটি আইন মানার ডেডলাইন পার করে ফেলেছে টুইটার। হারিয়েছে আইনি রক্ষাকবচও। আদালতের তরফ থেকে আসা নির্দেশকে অমান্য করেছে এই জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট। মঙ্গলবারের শুনানিতে টুইটার পক্ষের আইনজীবী সজন পুভায়াকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, পরেরবার যেন স্পষ্ট উত্তর নিয়ে হাজির হয় টুইটার। নাহলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী টুইটার গ্রিভান্স অফিসার হিসেবে একমাত্র ভারতীয় আধিকারিককে বসাতেই বাধ্য থাকবে। কিন্তু দেখা যায় যে টুইটারের গ্রিভান্স অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সংস্থার গ্লোবাল পলিসি ডিরেক্টর জেরেমি কেসেল। সেক্ষেত্রেও কেন্দ্রের নয়া আইন লঙ্ঘন করে টুইটার। এখন দেখার পরবর্তী শুনানিতে টুইটারের পক্ষ থেকে ঠিক কী জবাব উঠে আসে।
ব্যুরো রিপোর্ট