Trending
মুখোমুখি পাঙ্গা মাস্ক এবং জুকারবার্গের
এবার টুইটারকে থ্রেট দিতে বাজারে এল থ্রেড
মাত্র ৭ ঘন্টায় ১০ মিলিয়ন ইউজার! রেকর্ড করলো থ্রেড
কিন্তু এই পারফরম্যান্স কি সাকসেসের গ্যারান্টি দেয়?
মাস্ক না মহম্মদ বিন তুঘলক? যখন ইচ্ছে কর্মীছাঁটাই, যখন ইচ্ছে নিয়মবদল– টুইটার জবরদখলের পর মাস্কের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে ইউজাররা জাস্ট বিরক্ত। আর এই ফাঁকেই টুইটার কিলার থ্রেডের এন্ট্রি। মাস্ক ভার্সেস মার্ক- ভারচ্যুয়াল পাঙ্গা এবার কিন্তু জমে ক্ষীর। লঞ্চ হবার পর মাত্র ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। নেটফ্লিক্স, ফেসবুক, চ্যাটজিপিটি যা করতে পারেনি- সেটাই করে রেকর্ড তৈরি করেছে থ্রেড। ১০ মিলিয়ন ইউজারকে নিজদের আওতায় নিয়ে চলেছে এসেছে। মাস্টারমাইন্ড মার্ক। কিন্তু এই মাস্টারমাইন্ড মার্ক, কি এমন স্ট্রোক দিল যে টুইটারের মনপলি একেবারে ঘেঁটে ঘ হয়ে গেল?
অনেকেই বলছেন টুইটার এবং থ্রেড নাকি একেবারে এক। একটা পাবলিক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে মনখুলে মানুষ মানুষের Say-টা রাখতে পারবে। বেসিক্যালি মেটার ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইন্সটাগ্রামের কম্প্যানিয়ন হিসেবেই লঞ্চ করা হয়েছে থ্রেডকে। মানুষের আইডিয়া, ক্রিয়েটিভিটি এবং এক্সপেরিয়েন্সকে একটা অন্য মাত্রা দেওয়াই নাকি থ্রেডের ভীষণ। এমনটাই জানিয়েছেন মিস্টার মার্ক। বাট আয়রনি ইজ, থ্রেড কিন্তু মাস্ককে ব্যবহার করেই নিজের প্ল্যাটফর্মটাকে আরও শক্তপক্ত করছে। কীভাবে?
আলোর থেকেও বেশি স্পীডে ভাইরাল হয়েছে থ্রেড। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হাইপে রয়েছে এই থ্রেড। কীভাবে? ফার্স্ট অফ অল, একটা ভারচ্যুয়াল খোঁচার মাধ্যমে। থ্রেডের ডিজাইন। যেটা একজ্যাক্টলি সেম অ্যাজ টুইটার। বাট ডিফারেন্স তো রয়েছেই। ইউএসপি না থাকলে মানুষ কি আর অ্যাক্সেপ্ট করত? থ্রেডে আপনি লং রাইটিং পোস্ট করতে পারবেন। আপলোড করতে পারবেন ৫ মিনিটের বেশি ভিডিও। কারও থ্রেডের রিথ্রেডও করতে পারবেন। আর এই এতকিছু করার জন্য আপনাকে ট্যাঁকের কড়ি খসিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করাতে হবে না। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি যেকোনো থ্রেড আপনার ইন্সটা স্টোরিতে যেমন শেয়ার করতে পারবেন তেমনই শেয়ার করতে পারবেন টুইটারেও। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো বিষয় আর কি!
সেকন্ডলি থ্রেড কিন্তু এইমুহূর্তে একেবারেই অ্যাড ফ্রি একটা প্ল্যাটফর্ম। হ্যাশট্যাগ এইমুহূর্তে হচ্ছে আসল কি-ওয়ার্ড। আরও একটা বিষয়। ফলোয়ার লিস্টে নাম্বার বেশি থাকলে অনেকের জাজড হওয়ার ভয় থাকে। ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়াতে ফলোয়ার লিস্টকে টাইমলাইন থেকে উধাও করে দিয়েছে। আর এইভাবেই সেলেব ইলন মাস্ককে ঘোল খাইয়ে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলার কাজ শেষ করেছে থ্রেড। এরপরের বিষয়টা হচ্ছে, ইউজার ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। যেমন ধরুন, যেইমুহূর্তে মাইস্পেস এল, অরকুট উধাও হয়ে গেল। যেই ফেসবুক এল, সঙ্গে সঙ্গে মাইস্পেস গন। এরপর ইন্সটা এসে ফেসবুককেও কুপকাত করে দিল। সোশ্যালি এন্ট্রি নেওয়া তো হল, বাট আসল কম্পিটিশনটা হয় নিজের একজিস্টেন্স টিকিয়ে রাখা। সুতরাং এক্ষেত্রেও দারুন ফন্দী এঁটেছে মার্ক। শুনুন তাহলে।
ফন্দীর পোশাকি নাম নেটওয়ার্ক এফেক্ট। এবার এটা খায় না মাথায় দেয়- সেটাই বুঝিয়ে বলছি। বন্ধুদের কোথায় নাচার একটা প্রবাদ কিন্তু হিউম্যান সাইকোলজির দিক থেকে ভীষণভাবে সত্যি। যেখানে বন্ধুদের ভিড় বেশি, ঝোঁক সেদিকেই বেশি থাকে আমাদের। বন্ধু বলছে মানে সেটা ট্রাই করা যায়। চেনা মানুষের প্রতি কৌতূহল থাকে। থাকাটাই স্বাভাবিক। আর অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে, বন্ধুদের আপডেট জানতে সকলেই কে না এক্সাইটেড থাকে বলুন? যে কারণে টুইটারে মান্থলি অ্যাক্টিভ ইউজার ৩৯৬ মিলিয়ন। আর ইন্সটাগ্রামে অ্যাক্টিভ ইউজার সংখ্যা ১ বিলিয়ন। দিনের শেষে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে একটা মনোপলি গেম। যেখানে শুধু ফিচারসই নয়, বন্ধু বান্ধবদের একজিস্টেন্সটাও ম্যাটার করে।
আর এতকিছুর হওয়ার পর মিঃ মাস্ক মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবেন ভেবেছেন? কখনও না। ভারচ্যুয়াল খোঁচা মেরে তিনি থ্রেডকে কপিক্যাট অ্যাপ্লিকেশন আখ্যাও দিয়েছেন। তবে, এটা ঠিক যে থ্রেড এবং টুইটার অ্যাক্টিভিটি এবং পারফরম্যান্সের দিক থেকে এক হলেও ডিফারেন্স আনছে সেখানে থাকা লোকজন। পরবর্তীতে এই পাঙ্গার জল কতদূর এগোয় আর এই পারফরম্যান্স কি সাকসেসের গ্যারান্টি দেয়- এখন সেটাই দেখার।
বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ।