Trending
ছিল পাখি। হয়ে গেল কুকুর। নাহ কোন ম্যাজিক নয়। মাস্কের কারসাজি। টুইটার নিয়ে একাধিক চাপানউতোর, টুইটার কেনা, কর্মীছাঁটাই, বিধিবদল ইত্যাদি নানা কারণে প্রচুর প্রশ্নবানে বিদ্ধ হয়েছেন মাস্ক। এবং তারপর নিজের সিইও পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে হয় তাকে। টুইটার হ্যান্ডেল নিয়ে কী করতে চান মাস্ক, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু হঠাৎই তার এই নতুন সিদ্ধান্তে আবারও তোলপাড় শুরু হলে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
টুইটারের নতুন সিইও খুঁজে পেয়েছেন মাস্ক। তবে সে কোন মানুষ নয়। সারমেয়। কিন্তু এ কেমন রসিকতা? ব্লু বার্ড কে সরিয়ে টুইটারের নতুন সিইও এখন শিবা ইনু প্রজাতির এই পোষ্যটি। তবে শুধু টুইটার ওয়েবেই এই পরিবর্তন এসেছে। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে এর কোন পরিবর্তন আসেনি। টুইটার নিজের দখলে আনার পরই পরাগ আগওরয়ালকে তার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন তিনি। এবং এখন এই নতুন সিইও-র আপডেট দিয়ে কি তিনি এটাই ইঙ্গিত করতে চাইলেন যে, এই সারমেয়টি পরাগ আগরওয়ালের থেকে অনেক বেশি দক্ষ এই কাজের জন্য? প্রশ্নটা উঠলো মাস্কের সাম্প্রতিক পোস্ট নিয়েই।
সম্প্রতি নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে নিজের পোষ্য ফ্লকির ছবি শেয়ার করেন মাস্ক। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি কালো টি-শার্ট পড়ে রোয়াব নিয়ে বসে আছে পোষ্যটি, এবং তার টি-শার্টে বড় বড় করে লেখা আছে সিইও। শুধু ছবি পোস্ট করেই থেমে থাকেননি। ক্যাপশনও অ্যাড করেছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, “টুইটারের নতুন সিইও খুবই দক্ষ। নম্বর নিয়ে তার গভীর জ্ঞান”। কাজেই কোনোভাবে পরাগ আগরয়ালকেই টার্গেট করে এই পোস্ট কি না, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যদি সেটা নাও হয়, তাহলে হঠাৎ এই লোগো বদলের কারণ কী?
মাস্কের এই রসিকতা দেখে এটুকু ক্লিয়ার যে মাস্ক ডোজ মিমের খুব বড় ফ্যান। তিনি এর আগেও এই ধরণের মিম শেয়ার করেছেন তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রায় সকলের সঙ্গেই এই ডোজ মিমের ছবি ভীষণভাবে পরিচিত। প্রসঙ্গত, ডোজকয়েন ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির লোগো হিসাবে সুপরিচিত। বিটকয়েনের মতো অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিকে উপহাস করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে এতে কার কতটা লাভ বা লোকসান হয়েছে, সে হিসেব জানা নেই, কিন্তু সোমবার লোগো বদলের সঙ্গে সঙ্গেই ২০ শতাংশ মান বেড়েছে ডোজকয়েনের।
মাস্কের সঙ্গে পরাগের সম্পর্ক যে তিক্ত, তা আজ কারোরই অজানা নয়। পরাগ এবং মাস্ক যে কোনদিনই একসঙ্গে কাজ করতে পারবে না সে বিষয়টা আগেই স্পষ্ট করেছিলেন টুইটারের প্রাক্তন প্রধান জ্যাক ডরসি নিজেও। টুইটারে প্রাথমিক পর্যায়ে যখন মাত্র হাজার জন কর্মচারী ছিলেন, সেই সময় টুইটারে যোগ দেন পরাগ আগরয়াল। সেই পরাগ আগরয়ালের থেকে নাকি তাঁর কুকুরটি সিইও হিসেবে ভালো।
বিজনেস প্রাইম নিউজ,
জীবন হোক অর্থবহ।