Daily

যেই ভারতের জগৎ জোড়া খ্যাতি ছিল মশলা ব্যবসায়, সেই ভারতেই আজ অবহেলিত মশলা বাণিজ্য। এবার সেই মশলা বাণিজ্যেই বিশেষত গোলমরিচ চাষে প্রাণ ফেরাতে উদ্যোগী হলো ত্রিপুরা সরকার। বিতরণ করা হচ্ছে চারা।
অর্থকরী ফসল হিসেবে গোলমরিচের কদর রয়েছে বিশ্বজুড়ে। চাষ হয় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসহ সুদূর শ্রীলঙ্কাতেও। ত্রিপুরার মাটি ও জলবায়ু গোলমরিচ চাষের উপযুক্ত হলেও সরকারি অবহেলায় এখানে তেমন ভাবে গোলমরিচ চাষ হত না। তাই গোলমরিচ আমদানিতে বহিঃরাজ্যই ছিল ত্রিপুরার ভরসা।
এবার কোমর বেঁধে তৈরি ত্রিপুরা সরকার। রাজ্যই চাষ হবে গোলমরিচ, আয়ও হবে দ্বিগুণ। গোলমরিচ চাষে প্রয়োজন হয় না খুব বেশি যত্নের, মিশ্র পদ্ধতিতে এর চাষ করা সম্ভব হয়। ত্রিপুরা সংলগ্ন ধলাই, ঊনকোটি ও উত্তর জেলায় প্রচুর পরিমাণ সুপারি বাগান রয়েছে। এই বাগান গুলোতে গোলমরিচ চাষ করলে কৃষকদের বাড়তি আয় হবে। এই সব গাছের মধ্যে লতানো এই মশলার গাছটি লাগানোর পর সামান্য বড় হলেই গোলমরিচ ধরতে শুরু করে। ২০২০ সালে নাগিছড়ার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে ৫০ হাজার গোলমরিচার কাটিং চারা উৎপাদন করে দেওয়া হয়েছে। এ বছর আর বেশি পরিমানে চারা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন তারা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার জন্য যে ডাক দিয়েছেন তা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে গোলমরিচ বলে মনে করছে ত্রিপুরা সরকার। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত ত্রিপুরা রাজ্য নিজের চাহিদা মিটিয়ে গোলমরিচ অন্য রাজ্যে রপ্তানি করতে পারবে।
ব্যুরো রিপোর্ট