Daily
কে বলে, মেয়েরা সংসারের হাল ধরতে পারে না? আরে বাবা! যে রাঁধে, সে তো চুলও বাঁধে। তাই তো সংসার সামলেও নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন নদীয়া জেলার হরিণঘাটার মালা দে। ব্যবসার জন্য, খুব সামান্য পুঁজি জোগাড় করতে পারলেও, তা দিয়েই দীর্ঘ ২০ বছরের বেকারির সংসার সাজিয়েছেন তিনি। আর তার এই ব্যবসা থেকে যেমন পরিবারের আরও অনেকে কর্মসংস্থানের দিশা খুঁজে পেয়েছে। তেমনই বেশ কয়েকজন বেকারের রুজিরুটির বন্দোবস্তও করেছেন মালা দেবী।
ব্যবসার জন্য বরাদ্দ যৎসামান্য পুঁজি আর বেকারি ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণ, যেমন ধরুন, ময়দা, চিনি, তেল, ডালডা, ইস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে মাভৈঃ বলে ব্যবসায় নামা। নিজের কারখানাতেই সমস্ত প্রোডাক্ট তৈরি করে, তা প্যাকেটজাত করেন তিনি। সঙ্গে অবশ্য দু-এক জন লেবার আছেন। আর সেইসমস্ত প্যাকেটজাত প্রোডাক্ট কিনে নিয়ে যান পাইকাররা।
সংসারের অভাব অনটনের জেরে বছর কুড়ি আগে নিজেই এগিয়ে এসেছেন এবং মুশকিল আসানের মত ব্যবসার দায়ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন মালা দেবী। শুধু তাই নয়, ব্যবসায় জোয়ার, ভাটা যাই আসুক না কেন! মালা দেবীর সওদাগরী নৌকোর পাল বয়েছে ভয়শূন্যভাবেই। তবে, ইদানিং মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল হয়েছেন সমস্ত ব্যবসায়ীরা। জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম অথচ লাভের পরিমাণ সেই তলানিতেই। তাই সরকারি সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন মালা দেবী।
জিনিসপত্রের এই আকাশছোঁয়া দামে ব্যবসার অবস্থা প্রায় বেহাল। তাই এখন সরকারি সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন মালা দে-র মত হাজার হাজার বেকারি ব্যবসায়ীরা।